মশিউর মিলন, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর বাউফলের ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার মহিলা ডিগ্রি কলেজের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক নাজনিন আক্তার নাজমা প্রতিষ্ঠানে নেই, অথচ শিক্ষক হাজিরা খাতায় আছে তার সাক্ষর। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধানে বিষয়টির প্রমাণ মিলেছে। গত দুই মাসে ৭ দিন ক্যাম্পাসে এই শিক্ষকের অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে বৃহস্পতিবার (২১নভেম্বর) কলেজ ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত অভিযুক্ত শিক্ষক কিন্তু হাজিরা খাতায় দেখা যায় আজকের তারিখে সাক্ষর করেছেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক অহিদুজ্জামান সুপন বলেন, নাজনিন আক্তার নাজমা আজকে অনুপস্থিত, কিন্তু গতকালই তিনি হাজিরা খাতায় আজকের দিনের সাক্ষর করে গেছেন। আজকে কলেজে এসে আমি হাজিরা খাতায় বিষয়টি দেখলাম। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আলোচনা করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে অভিযুক্ত শিক্ষক যুক্তিবিদ্যা বিষয়ের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক নাজনিন আক্তার নাজমা জানান, আজকের তারিখে তিনি হয়তো ভুল করে সাক্ষর করেছেন। প্রায়ই কলেজে অনুপস্থিত থেকেও হাজিরা খাতায় সাক্ষর থাকার প্রসঙ্গে তিনি জানান, গত এক মাসে তিনি একদিনও অনুপস্থিত ছিলেন না। এর আগে ক্লাসের ফাঁকে আশেপাশে গেছেন হয়তো কোনো কাজে, এমন সময় সাংবাদিক আসায় তাকে পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেন তিনি। শেষে একই এলাকার মানুষ হিসেবে ভুলভ্রান্তি নিয়ে কাদা ছোড়াছুরি না করার অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান বলেন, অগ্রিম সাক্ষর করার সুযোগ নেই, সে এসে সকালেই সাক্ষর করবেন এটাই নিয়ম। এটাতো অপরাধ, ঘটনার সত্যতা পেলে অবশ্যই অধ্যক্ষ ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে ইন্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার মহিলা ডিগ্রি কলেজের সভাপতি সহকারী এটর্নি জেনারেল মো. মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন বলেন, তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের দুই এপ্রিল যুক্তিবিদ্যা বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার মহিলা ডিগ্রি কলেজে যোগদান করেছেন অভিযুক্ত জ্যেষ্ঠ প্রভাষক নাজনিন আক্তার নাজমা।