জিয়া চৌধুরী (খুলনা জেলা প্রতিনিধি)
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের অপসারণকৃত ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও খুলনা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি গোলাম রব্বানী টিপু হত্যা মামলায় কেসিসির সাবেক ১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান ইফতেখার ও কক্সবাজার শহরের টেকপাড়ার এলাকার বাসিন্দা মেজবাহ হক ভুট্রো কে শনিবার গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াস খান বলেন, ইফতেখার ও মেজবাউলকে দুপুরে আদালতে তোলা হয়। হত্যার রহস্য উদঘাটনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করে পুলিশ। তবে আবেদনের শুনানি হয়নি। জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে গোলাম রব্বানী টিপু আত্মগোপন করেন। ৮ জানুয়ারি রাত ১১টায় গ্রিন লাইন পরিবহনে করে কক্সবাজার আসেন। এর পরদিন তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। একাধিক সূত্র জানায়, ব্যবসায়িক কাজে তিনি প্রায় সময় কক্সবাজারে অবস্থান করতেন। তিনি মহেশখালীর বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সঙ্গে শেয়ারে লবণ চাষ ও চিংড়ি ঘেরের ব্যবসা করতেন। সেই সূত্রে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকার মানুষের সঙ্গে তাঁর সখ্য ছিল। থানায় করা মামলার এজাহারে কক্সবাজারে টিপুর চিংড়ি ঘেরের ব্যবসা ছিল বলে উল্লেখ করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কক্সবাজার সদর মডেল থানার এসআই সুস্ময় দাশ গুপ্ত বলেন, তদন্তে অনেক কিছু শোনা যাচ্ছে। নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এখন কিছু বলতে পারছি না। র্য্যব -১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, মাথায় গুলি করে টিপুকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ইফতেখার ও মেজবাউল সন্দেহজনক আচরণ করেছেন এবং ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়েছেন। টিপুকে লক্ষ্য করে যে গুলি ছোড়া হয়েছিল, তা নিখুঁতভাবে মাথায় বিদ্ধ হয়। অস্ত্র চালনায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কেউ এই গুলি ছুড়েছেন। আপাতত দৃষ্টিতে মনে হয়েছে, গুলিটি ছিল নাইন এমএম পিস্তলের। এটি কাদের এবং কোথা থেকে এসেছে, তা বের করার চেষ্টা চলছে। আত্মগোপনে থাকা তরুণীকে গ্রেপ্তার করা গেলে হত্যার রহস্য পরিষ্কার হবে।