রাসেল কবির// কাজিরহাট বাজারে প্রায় দুই শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজিরহাট বাজার নামে পরিচিত। এই বাজারের ব্যবসায়ী মহলদের অভিযোগ পাবলিক টয়লেট দীর্ঘ বছর যাবত ব্যবহারে কোন উপযোগী হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূত্রমতে জানা গেছে ২০১০ সালে সরকারি অর্থ বরাদ্দে ২ টি প্রসাব খানা ২টি টয়লেট স্থাপন হয়েছে বাজারের উত্তর প্রান্তে। ওই পাবলিক টয়লেট ৫/৭ বছর ব্যবহারে পর অনুপযোগী হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরোজমিনে দেখা গেছে পাবলিক টয়লেট জরাজীর্ণ ভাঙা চুড়া।টয়লেটের পিছনে ময়লা টাংকি ভেঙ্গে চুন্নু বিচূর্ণ হয়ে গেছে। দীর্ঘ বছর যাবত বাজার ব্যবসায়ী মহল ও বাজারে আগত লোকজন প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিলে টয়লেটে যেতে পারছে না। একাধিক ব্যবসায়ীদের মাদের চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিলে টয়লেটে যেতে পারছে না। বাধ্য হয় এদিক সেদিক রাস্তার পাশে জঙ্গলে যেতে বাধ্য হচ্ছে ফলে তাদের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। জানা গেছে লতা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান নেহাল ও কাজিরহাট বাজার বণিক সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম হীরা একাধিকবার পরিদর্শন করে আশ্বাস দিয়েছেন টয়লেট ব্যবহারে উপযোগী গড়ে তুলবে। কিন্তু বছরের পর বছর গড়িয়ে গেল ও তাদের বাণী বাতাসে ঝুলছে এখনো হয়নি পাবলিক টয়লেট। কাজিরহাট বাজারে বহিরাগত লোকজন এসে টয়লেটে না যেতে পারায় দুঃখ প্রকাশ করে গেলেন। এ বিষয় কাজিরহাট বাজার বণিক সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম হীরার সাথে কথা হলে তিনি জানায় নামেই বণিক সমিতি কিন্তু কোন হায় নেই। বাজারের নাইট গার্ড রাখা হয়েছে মাসিক বেতন ব্যবসায়ী মহলদের কাছ থেকে উঠিয়ে দিতে হয়। এবং প্রতিমাসে নাইট গার্ডের বেতন আমার তহবিল থেকে ১৫০০/১৮০০টাকা বাড়তি দিতে হয়। অনেক সম্পর্কে জানায় টয়লেট সম্পর্কে জানায় একান্ত প্রয়োজন বাজারে টয়লেট না থাকলে ব্যবসায়ীদের ভারী অসুবিধা হয়। বণিক সমিতির বাজার সেক্রেটারি জিয়াবুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি জানায় এই সমিতিতে কোন প্রকারে জমাকৃত টাকা নেই। সমতির পক্ষ থেকে চেষ্টায় আছি সংস্কার করার জন্য। বণিক সমিতির দায়িত্বরত মো: বাকিউল্লাহ খানের সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন আমরা দ্রুত টয়লেট সংস্কারের ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট আবেদন করব। এ বিষয় লতা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল কালাম হাওলদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন সরকারি অনুদান আসলে আমি ব্যবস্থা করব। টয়লেট নিয়ে কাজিরহাট বাজার ব্যবসায়ী মহলের অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানে বসে ব্যবসা পরিচালনা করে একাধিকবার প্রসাবের ব্যাক ও প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিলে কোথাও যেতে পারে না এদিক সেদিক যেতে বাধ্য হয়। আমাদের কথা বিষয় বিবেচনা করে অতি দ্রুত টয়লেট পুনরায় নির্মাণ ও সংস্কার করা অতীব জরুরী বলে মনে করেন।

