রাসেল কবির// মাদক কে না বলুন। সুস্থ সমাজ ও পরিবেশ গড়ে তুলুন। এই স্লোগানকে অতিক্রম করে সর্বত্র এলাকায় মাদক নেশায় প্রতিনিয়ত ঝুকছে কিশোর বয়স থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের মানুষ। বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাট থানা ৫ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে মাদক নেশায় জড়িত অনেকেই। কাজিরহাট সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় মাদক গাজার চাইতে ইয়াবা নামক ট্যাবলেট হাত বাড়ালে পাওয়া যায়। নেশা সম্পর্কে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষকদের সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানায় আমাদের যখন উঠতি বয়স ছিল ওই সময় লেখাপড়া করতাম। বিড়ি সিগারেট পান থেকে দূরে থাকতাম। বর্তমানে ছেলেরা সকল ধরনের মাদকের সাথে সম্পৃক্ত করে নেশায় পরিণত করে নিয়েছে। উদয়পুর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি জানায়। কাজিরহাট এলাকায় মাদক বেচা বিক্রি বন্ধ করে দিলে অনেকেই নেশার জগত থেকে ফিরে আসবে। ১২থেকে ১৪ বছর বয়সে ছেলেরা নেশায় আক্রান্ত হচ্ছে এর জন্য দায়ী নিজ নিজ অভিভাবক মহল। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে মাদক নেশার কারণেই এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড সহ চুরির ঘটনা বেড়ে গেছে। সূত্রে জানাগেছে প্রতিটি ইয়াবা নামক ট্যাবলেট দাম ৩৫০ টাকা এরূপ অনেকেই দৈনিক ৪/৫ টি সেবন করলে ১৪০০/১৭৫০ টাকা প্রয়োজন। কিছুদিন পর টাকা সংগ্রহ করতে না পারলে পিতা-মাতা ভাই বোনকে অশ্লীল গালমন্দ সহ মারধরের ঘটনা চলমান। এছাড়া নেশার টাকা সংগ্রহ করার জন্য অনেকে রাতের আধারে অন্যের বসত ঘরে চুরি করতে বাধ্য হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে কাজিরহাট সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার মধ্যে নামধার মাদক কারবারিদের এলাকা থেকে উচ্ছেদ করে দিলে মাদক কারবারী বন্ধ করা যেতে পারে। অথবা প্রতিটি ওয়ার্ড পর্যায়ে মাদক বিরোধী নির্মল কমিটি গঠনের মাধ্যমে কঠোর হুশিয়ার বা শর্তবলীর মাধ্যমে এলাকায় বসবাস করার আস্থাভাজন করতে হবে। দেখা গেছে কাজিরহাটে মাদক সম্রাটরা পুলিশের হাতে মাদকসহ গ্রেপ্তার হলো ও কিছুদিন পর জামিন নিয়ে এলাকায় এসে মাদক ব্যবসা শুরু করে দেয়। স্থানীয় সুশীল সমাজ লোকজন জানায় প্রশাসন কঠোর হলে মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীরা এলাকা থেকে নির্মল হয়ে যাবে। কাজিরহাট থানা পুলিশের অভিযান মাদকের বিরুদ্ধে অব্যাহত থাকলেও প্রায় সময় সংবাদ পাওয়া যায় মাদকসহ আটক। আটকদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা রুজু হলেও কিছুই মনে করে না মাদক বেচা বিক্রি সম্রাটেরা। এলাকায় সচেতনামূলক বৃদ্ধি বাড়াতে মাদক সম্রাটদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত আইনি লড়াই সহ এলাকায় মাদক নির্মূল কমিটি গ্রহণ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে অচিরে মাদক বিক্রি বন্ধ করা সম্ভব বলে মনে করেন।

