রাসেল কবির কাজিরহাট থানা প্রতিনিধি
এ কেমন সালিশি বৈঠকের কান্ড। ছাগল চুরি করে হজম করা হয়ে গেল ও স্থানীয়রা শালীর বৈঠক করে ১৫০০০ টাকা জরিমানা এবং চোরকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ করেছে চোরা কে। শালীস বৈঠকে সমাধা হল ছাগল মালিক কে বিদায় করল বাকি টাকায়। ৩০ তারিখে টাকা দেওয়ার কথা থাকলো ও এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ। এমন ঘটনা ঘটেছে,বরিশাল জেলার কাজিরহাট থানার ৬ নং বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়নের পশ্চিম রতনপুর গ্রামে ১ নং ওয়ার্ডে মৃত্যু রসুল, মালের ছেলে মামুন মালের একটি রাম ছাগল গত ১৮ই সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার চুরি হয়, ছাগলের মালিক মামুন মাল জানায় আমার ছাগল চুরি হওয়ার পরে, অনেক খোঁজাখুঁজি করে জানতে পেলাম। বিপ্লব শিকদারের মাছের ঘেড়ে বসে ছাগলটি জবাই করে। মাংস নিয়ে যায় বাকি অংশ ওখানে ফেলে যায়। জানতে পারি ২ নং ওয়ার্ডের নুরু হাওলাদার এর ছেলে মুন্না সহ ২/৩জনে আমার ছাগলটি জবাই করে খেয়ে ফেলেছে। ঘটনাটি মোহন শিকদার ইউপি সদস্য ইমামুল হাসান রুমিকে জানাল। সে বলে থানায় যাওয়ার প্রয়োজন নেই আমরা মীমাংসা করে দিব। অতঃপর গতকাল ২১ শে সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ৯ ঘটিক ইমামুল হাসান রুমি, রাব্বি বেপারী, মহিন শিকদার, সন্তেষপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর বাঘা। সালিশ ব্যবস্থা করে। ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে। কিন্তু ছাগল মালিক মামুন জানায়, আমি টাকা হাতে পাই নাই। মুন্না চোরের বাবা নুরু হাওলাদার সময় নিয়েছে ৩০ তারিখ আমার টাকা দিবে তবে আমার সন্দেহ হয়। এই জরিমানার টাকা আমি হাতে পাব না। এলাকায় সাধারণ মানুষের ভিতরে ব্যাপক চাপা ক্ষোপের সৃষ্টি হয়। মুন্না একজন পেশাগত চোর কিছুদিন আগে রব ব্যাপারীর মুরগি চুরি করে। এবং মুন্নার নামে এলাকায় একাধিক নারি কেলেঙ্কারির ঘটনা রয়েছে। এ ব্যাপারে কাজিয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ এর কাছে জানতে চাইলে জানায়। আমরা অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিব।