রাসেল কবির//সরকার তহবিল ব্যয় করে ২ যুগ পূর্বে বরিশালের কাজির হাট থানা লতা ইউনিয়নের আসলী সন্তোষপুর গ্রামের কাজিরহাট বাজারে ৪ রুম বিশিষ্ট একটি মহিলা মার্কেট নির্মাণ করেন। মহিলা মার্কেট উপরের টিনের চাল ও পাকা দেয়াল সামনে শাটার। সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে মহিলা মার্কেট নির্মাণ হয়েছে বাজারের মধ্যপ্রান্তে কাজিরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র সংলগ্ন অপর প্রান্ত কাজিরহাট কৃষি ব্যাংক। মহিলা মার্কেট নির্মাণের পর ৪ টি রুম মহিলাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে। ২ টি রুমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করে। আখি বিউটিপালার অপরটি তানিয়া টেইলার্স। অপর ২ টি রুমে কেউ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করেনি। ২০১৩ সালের আগে ২ টি রুম পুলিশের দখলে ছিল বলে জানা গেছে। মহিলা মার্কেট থেকে অদৃশ্য কারণে নিজেরাই ব্যবসা বন্ধ করে দেয় প্রায় ৫/৭ বছর পূর্বে। সে থেকেই মহিলা মার্কেট বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে কাজিরহাট থানা রূপান্তরিত হলে থানা পুলিশ চলে যায় মূল ভবনে। কিছুদিন পর দেখা গেছে উপরের টিন জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। এদিকে একটি রুমের শাটার দোকান থেকে খুল চুরি করে নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে মহিলা মার্কেট সাবেক ব্যবসায়ী বলেন উপজেলা থেকে এলজি আইডি অর্থায়নে মার্কেট স্থাপন করা হয়। এই মার্কেট থেকে আমাদের ভাড়া ধার্য করে দিয়েছে প্রতি মাসে ১০৫ টাকা। প্রতিমাসে আমরা ভাড়া দিয়ে দিতাম এবং ব্যবসা অবস্থা ভালো না বলে বন্ধ করে দিয়েছি। কাজিরহাট বাজার একাধিক ব্যবসায়ী জানায় সরকারি মাল এভাবে চুরি করে নিয়ে গেছে দেখার মত কেউ ছিল না। এ বিষয়ে কাজিরহাট থানা ভারপ্রাপ্ত ওসি দীপঙ্কর তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন এই মহিলা মার্কেট কাজিরহাট থানার তত্ত্বাবধানে আনা হয়েছে। রুমের বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল ও সামনে শাটার চুরি হয়ে গেছে সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন এখনো পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি অভিযোগ করলে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিব। এ বিষয়ে স্থানীয় সচেতন মহল বলছে মহিলা মার্কেট পুলিশ প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে চলে গেলে মালামাল চুরি হলে অভিযোগ করবে কে।

