জেলা প্রতিনিধিঃ নড়াইল
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ৬৬ নং পার-কেকানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিকদার নাজমুল আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ।
এ বিষয়ে নড়াইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট ৭টি দপ্তরে ১৪ জানুয়ারী মঙ্গলবার অভিযোগ দায়ের করে ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবক ও এলাকার সচেতন মহল।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক হিসাবে সিকদার নাজমুল আলম ২০১৮ সনে পার কেকানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তিনি সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজের খেয়াল খুশি মত বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করেন। বিদ্যালয়ের ৩ লক্ষ টাকার অস্থায়ী টিনসেড ঘর নির্মান প্রকল্প বরাদ্দ হলেও তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করেননি।
বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন নিলামের আগে চেয়ার-টেবিলসহ অন্যান্য আসবাবপত্র গোপনে বিক্রি করে ১৬ হাজার টাকা তছরুপ করেছেন বলে জানা গেছে। তাছাড়া ২০২৪ সালের বার্ষিক পরীক্ষার সময় সকল শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে সরকারের দেয়া বিনামূল্যে বই জোরপূর্বক দপ্তরীর মাধ্যমে সংগ্রহ করে ও বিক্রি করে দেন। নির্মানাধীন ঝুকিপূর্ণ নতুন ভবনে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত পাঠদান করছেন। শুধু তাই নয় প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে সহকারী শিক্ষকরাও অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত রয়েছে।
ছাত্র ছাত্রীরা বলেন,স্যাররা পরীক্ষার সময় বই নিয়ে আসতে বলেন, না আনলে পরীক্ষা দিতে দেবে না বলেছে।তাই আমরা বই জমা দিয়েছি।
অভিযোগের বিষয়ে এলাকার সচেতন মহল ও অভিভাবকরা বলছেন, বারবার প্রধান শিক্ষককে বলা সত্বেও আমাদের কোন কথার তোয়াক্কা করেননি। অবশেষে আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করতে বাধ্য হয়েছি। তবে তার দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে বিচার দাবী করছি।
অভিযোগের সত্যতা জানতে ঐ স্কুলে সাংবাদিকরা সরেজমিনে গেলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। পরে প্রধান শিক্ষক নাজমুল আলমের সাথে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে এ ব্যাপারে তিনি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি। অস্থায়ী টিনসেড ঘর নির্মানের কোন ভাউচার দেখাতে পারেনি। বিদ্যালয়ের পুরাতন বই বিক্রির অভিযোগও অস্বীকার করেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে কালিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।