জেলা প্রতিনিধি নড়াইল
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার খাশিয়াল ইউনিয়নের ৭৪ নং চোরখালী মৌজার ৩৯৮ খতিয়ানের ৩৩ নং দাগে ১৭ শতকের মধ্যে দোকানসহ ১.৫ শতক রেকর্ডিয় জমি কিনে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন বর্তমান মালিক ব্যবসায়ী মশিয়ার চৌধুরী। গত বছরের ২৪ অক্টোবর তিনি ওই অংশের পূর্ববর্তী মালিক একই ইউনিয়নের গুড়িগাতী গ্রামের মৃত জোবেদ আলী মোল্যার ছেলে মোঃ নজরুল ইসলাম গং এর নিকট থেকে ২১৭৫/২৪ নং কবলা দলিল মূলে খরিদ করে নিজ নামে নামজারী করে ব্যবসা করে আসছেন। যার খতিয়ান ১০৭৮ (দোকান ঘর) জমির পরিমান ১.৫ শতক। কিন্তু বাকী অংশের মালিক মৃত মাহামাদুল খন্দকারের ওয়ারীশগন জোর জবরানে তাকে উচ্ছেদ করার অপচেষ্টা করে হয়রানী করছে। এ বিষয়ে কয়েকবার সাধারন শালিসসহ উকিল শালিস হলেও শালিস তাদের বিপক্ষে গিয়েছে। তবুও তাদের হয়রানী থেমে নেই। ০২ জানুয়ারী সরেজমিনে গেলে বিষয়টি জানা যায়।
জমির মালিক মোঃ নজরুল ইসলাম জানান ২০২৩ সালের ৬ জানুয়ারী ৬৩ নং কবলা দলিল মূলে মাহামাদুল হক খন্দকারের নিকট থেকে চোরখালী মৌজার ৩৯৮ খতিয়ানের ৩৩ দাগের মধ্য থেকে ২ শতক জমি কবলা দলিল মূলে খরিদ করে তন্মধ্যে ১.৫ শতক জমি ৭৬৭ নং খতিয়ানে নিজ নামে নামজারী করে কর খাজনা পরিশোধ করে আসছেন। কিন্তু প্রতারনা করে সেই জমি আমাদের বুঝিয়ে না দিয়ে জোর পূর্বক দোকান ঘর উঠিয়ে ভাড়া খেতে থাকে। এ বিষয়ে একাধিকবার স্থাণীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা শালিস করলেও তারা টালবাহানা করে জমি বুঝিয়ে দেয়নি।এক পর্যায়ে বর্তমান মালিক মশিয়ার চৌধুরীর নিকট আমরা কবলা দলিল করে দেই। এখন জোর পূর্বক বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে হয়রানী করছে মশিয়ারকে।
মশিয়ার রহমান বলেন, আমি পাঁকা কাগজ দেখে জমি কিনে ব্যবসা করে আসছি। কিন্তু মাহামাদুল খন্দকারের ছেলে মঞ্জুর ও তার মা অহেতুক আমাকে হয়রানি করছে। এ নিয়ে উকিল শালিস ও আমার পক্ষে এসেছে। তবুও বার বার হয়রানি করছে আমাকে।প্রয়োজনে আমি আইনের আশ্রয় নিব।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষের মঞ্জুর মাহাবুব বলেন, মশিয়ার ভাড়াটিয়া হয়ে ঘর নিজের বলে দাবি করছে। তবে স্থানীয়রা বলেছেন, মশিয়ারের কাগজপত্রে কেন ত্রটি নেই। তার খরিদ করা জমিতেই সে ব্যবসা করছে।
এ বিষয়ে সার্ভেয়ার বাবুল আকতার বলেন, উভয় পক্ষের বক্তব্য ও কাগজপত্র দেখা হয়েছে। খুব শিঘ্রই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।