রৌমারীতে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর আহুত ৪৯ তম ঐতিহাসিক ফারাক্কা লাং মার্চ স্মরণে নদী ভাংঙ্গন রোধে মানববন্ধন করা হয়।
মোঃ আয়নাল হক রৌমারী ( কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কৃষক, শ্রমিক বাঁচলে বাঁচবে দেশ মাওলানা ভাসানীর বাংলাদেশ।
রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ১৯৭৬ সালের ১৬ মের ফারাক্কা লংমার্চের রাজনৈতিক গুরুত্ব আজও হারিয়ে যায়নি।
মানববন্ধনে জননেতা হাসরত খান ভাসানী বক্তব্যে বলেন, মজলুম জননেতা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ১৯৭৬ সালে চিন্তা করে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লাং মার্চ করেছিলেন। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত শুধু বাংলাদেশের ক্ষতিকরেই যাচ্ছে। যদি সাধারণ মানুষ কৃষক শ্রমিক নদী ভেংঙ্গে বিলীন হয়ে যায় তাহলে দেশ বাঁচানো যাবেনা। রাস্তা ঘাট,বড় বড় বিল্ডিং, ব্রীজ,কালভার্ট-বাড়িঘর করে যদি নাই থাকে সেই চিন্তা অনেক আগেই করেছিলেন মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। তিনি আরও বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে যিনি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন তার উদ্দেশ্য বলেন, বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা নদী ভাংঙ্গণ। অতি দ্রুত নদীগুলো ড্রেজিং করে স্থায়ী বাঁধের দাবী জানান। ঐ ঢাকায় বসে তামাশা করবেননা। তিনি আরও বলেন, নদী ভাংঙ্গণের বাজেট সবচেয়ে বড়ো বাজেট আকারে পাশ করা হয়। আর যদি হাজার হাজার একর জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায় আমরা সারা বাংলাদেশের মানুষ কে নিয়ে বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ।
জনাব সেলিম খান ভাসানী তার বক্তব্যে বলেন, আমরা অন্তরবর্তি সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই অবিলম্বে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর প্রকল্প গ্রহণ করে খেওয়ারাচর, সোনাপুর ঘুঘুমারী সুখের বাতি এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ পুরো এলাকা রক্ষা করা হোক।
এ-সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আব্দুল করিম কোষাধ্যক্ষ ন্যাপ ভাসানী কেন্দ্রীয় কমিটি, কবি শেফালী ম্যাম মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ন্যাপ ভাসানী কেন্দ্রীয় কমিটি, বেল্লাল হোসেন কার্য নির্বাহী সদস্য ন্যাপ ভাসানী কেন্দ্রীয় কমিটি,সোলেমান শেখ সাহেবে আলগা ইউপি সদস্য,আমজাদ হোসেন সদস্য ন্যাপ ভাসানী, আহাম্মদ শরীফ সদস্য ন্যাপ ভাসানী,মোজাম্মেল হক সদস্য ন্যাপ ভাসানী,নাজমুল হক সদস্য, ও আলী ফকিরসহ নদী ভাংঙ্গন এলাকার সর্ব এস্থরের জনগণ।