আয়নাল হক রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :
রৌমারী উপজেলায় ৬টি ইউনিয়নের ২০ গ্রামের ঘর-বাড়ী,গাছপলা, বিদ্যুত লাইন ছিন্ন ভিন্ন সহ ব্যাপক ফসলের ক্ষতি হয়েছে। গতকাল রবিবার রাত ১০টার দিকে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার উত্তর পশ্চিম কোন থেকে বয়ে আশা প্রবল গতিতে শিলা বৃষ্টি ও আকস্মিক ঝড়ে প্রায় ২শত টি ঘরবাড়ী ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়।
ঝড়ের তীব্রতায় ভেঙে গেছে গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি। নষ্ট হয়েছে কৃষিজমির সাড়ে ৩শ হেক্টর জমির ধান, ২ হেক্টর পাট, ৩ হেক্টর তিল ও ২৭ হেক্টও শাক সবজীসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের অনেকেই খোলা আকাশের নিচে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
খঞ্জন মারা গ্রামের আব্দুল খালেক বলেন সর্বনাশা প্রচন্ড ঝড়ে আমার ৫ টি গাছ , একটি রান্না ঘর, একটি বড় ঘরের এক কোনার চাল ও একটি টয়লেট ভেঙে যায়।
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ্য চরবন্দবেড় গ্রামের ইসমাইল হোসেন বলেন, আমার একমাত্র অবলম্বন ঘরটি আকস্মিক ঝড়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে আমি এখন কি করবো বলে হাওমাওকরে কাঁদতে থাকেন তিনি।
যাদুরচর গ্রমের মাজেদ মিয়া বলেন, ধারদেনা করে একটি নতুন ঘর তুলেছিলাম আমি। কিন্তু গতকালের ঝড়ে ঘরটি তছনছ করেছে। একই ভাবে কুটিরচর গ্রামের শামেজ উদ্দিন বলেন, আমার ঘরের চালটি উড়ে গেছে।
এ ব্যাপারে জামালপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির এজিএম মাহমুদুল হাসান বলেন, রাতে ঝড়ের কারণে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কয়েকটি এলাকায় গাছপড়ে বিদ্যুতের খুটি ভেঙ্গে তার ছিড়ে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। জরুরী ভাবে লোকজন দিয়ে খুটি ও তার ঠিক করা হচ্ছে। আশা করি খুবতারাতারী বিদ্যুত সংযোগ দেওয়া হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শাসছুদ্দিন বলেন, ঝরে উপজেলার সব কয়েকটি ইউনিয়নের মধ্যে ঝড় হয়েছে। এতে ক্ষতি হয় ২শ ৫০টি পরিবার। আমরা ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারদের তালিকা করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বলেন, আমি সকালে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। এবং ক্ষতি গ্রস্থ পরিবারদের তালিকা করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যনদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।