ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার সাফদারপুর দারুল উলুম আলিম মাদ্রাসার এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশ প্রাপ্ত সহকারী মৌলভী পদে যোগদানকৃত শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এর নামে হামলা ও মিথ্যা মামলা করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী বলুহর রামচন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুর রশীদ গংয়ের বিরুদ্ধে । একই গ্রামের নুরুল ইসলাম মোল্লার বড় ছেলে আব্দুর রশিদ মোল্লা তার লোকজন নিয়ে ওই শিক্ষক ও তার পরিবারের উপর গত ৩১মে ২০২৩ইং তারিখে হামলা করে এবং বাড়ির দেয়াল ও দরজা ভাঙ্গচুর করতে থাকলে শিক্ষক মাওঃ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জীবন বাচাঁতে ৯৯৯ এ কল করলে কোটচাঁদপুর মডেল থানা থেকে এসআই আতাউর রহমান ও এসআই ইউনুস আলী সহ পুলিশ এসে শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম ও তার পরিবারকে হেফাজত করেন।
পুলিশ দেখে আব্দুর রশিদ মোল্লাসহ হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে কয়েকদিন পর আব্দুর রশিদ মোল্লা শিক্ষক মাওঃ মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের মাতা ফেলী খাতুনের উপর পুনরায় হামলা করে। এতে শিক্ষকের মাতা বাদি হয়ে ঝিনাইদহ ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে গত ৩রা আগষ্ট ২০২৩ইং তারিখে হামলাকারী ফিরোজ, আব্দুর রশিদ মোল্লা ও তার স্ত্রী পারভিনার নামে মামলা করে। গত ২রা অক্টোবর বিবাদিগন আদালতে হাজির হলে বিবাদীগন বাদীর নিকটতম প্রতিবেশী হওয়ায় ৫০০০ টাকার বন্ডে স্বাক্ষর নিয়ে ১ বছর পর্যন্ত শিক্ষকের পরিবারকে হয়রানি না করার জন্য আদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত । আব্দুর রশিদ মোল্লা নানাভাবে শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম ও তার পরিবারকে নির্যাতন ও হয়রানি করার ফন্দি আঁটতে থাকেন। শিক্ষক ১লা অক্টোবর মাদ্রাসায় যোগদান করলে আব্দুর রশিদ মোল্লা বাদি হয়ে তড়িঘড়ি করে ৩০শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং তারিখ বিকাল ৪ ঘটিকা উল্লেখ করে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মা ফেলী খাতুন, ছোট ভাই রাসেল ও সোহেল এবং স্ত্রী নয়ন তারার নামে ফৌজদারী কার্যবিধি ১০৭/১১৭(৩) ধারায় মিথ্যা মামলা করেন, মামলা নং ৬৯১/২৩। যেখানে সাক্ষী দেওয়া হয় তার বউ পারভীনা, একই গ্রামের আজিবার মন্ডলের ছেলে সবদুল মন্ডল এবং মৃত ভনু মোল্লার ছেলে হাসান মোল্লা কে। সবদুল মন্ডল ও হাসান মোল্লা কে সাক্ষী বানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে সাক্ষিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা মামলার ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানান। মামলার কপিসহ রশিদ মোল্লা ২রা অক্টোবর মাদ্রাসার সভাপতি ও প্রিন্সিপাল বরাবর লিখিত দরখাস্ত দিয়েছে সহকারী মৌলভী শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম কে যেন মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বেতন বন্ধ রাখার জন্য ।
এছাড়াও ঐ শিক্ষককে বিভিন্নভাবে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে রশিদ গং এর বিরুদ্ধে। শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী নয়ন তারা বেগম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত, ৩০ সেপ্টেম্বর স্টেশনে অবস্থান করেছিলেন। ভাই রাসেল পদক্ষেপ এনজিওতে চাকরি করেন, ৩০ সেপ্টেম্বর তার অফিসে কর্মরত ছিলেন। তার মা শারিরীকভাবে অসুস্থ (বুকে টিউমার ও হাড় ক্ষয়) ঢাকা ইবনে সিনা ও সিআরপি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। ছোট ভাই সোহেল বাড়িতে ছিলেন না। তার পরও শুধু মাত্র হয়রানি করার জন্যই তাদেরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ ঘটনায় এলাকার বেশ চাল্যঞ্চর সৃষ্টি হয়েছে।