আবু তালহা রাফি হাটহাজারী উপজেলা প্রতিনিধি
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩:৩০ টার দিকে বটতলী থেকে চট্টগ্রামের সিআরবির দিকে যাত্রা শুরু করে।
এসময় সিআরবিতে পূর্ব থেকে অবস্থিত প্রায় শতাধিক পুলিশ আন্দোলনকারীদের বাধা প্রধান করে এবং আন্দোলনকারীদের ফিরে যেতে বলে।
প্রায় ২০-২৫ মিনিট এভাবে তর্ক বিতর্ক চলার পর শিক্ষার্থীরা পুলিশের বেড়িবাঁধ ভেঙে সামনের দিকে যেতে থাকে। এসময় অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ লাঠিচার্জ করা শুরু করে, লাঠিচার্জ থেকে বাদ যায়নি মেয়ে শিক্ষার্থীরাও।এসময় প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়। অবস্থা যখন চরম উত্তপ্ত তখন খান তালাত মাহমুদ রাফি পুলিশের সামনে বুক পেতে থাকেন। মাহমুদ রাফি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ডিপার্টমেন্টের ২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী।
তার এই সাহসী অবস্থান দেখে বিক্ষিপ্ত শিক্ষার্থীরা আবার একত্রিত হয়ে আন্দোলন চলমান রাখে।
মিছিল ও স্লোগান করতে করতে তারা ২নং গেটে অবস্থান করে।
এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করার প্রতিবাদে সন্ধ্যা ৬:৩০ থেকে চবির শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং ও ২নং গেটে বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করে।
এসময় পুলিশের হামলার বিচার, কোটা প্রথার বাতিল সহ নানান ধরণের স্লোগানে মুখরিত থাকে চারপাশ।
৮:৪৫ পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি পালন করার পর তারা মিছিল করতে করতে চবির জিরো পয়েন্টের দিকে যাত্রা করেন।
শহরে অবস্থিত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসলে তাদেরকে যথার্থ সম্মান প্রদান করেন অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা।
এসময় মাহমুদ রাফি সহ অনেকে আলোচনা রাখেন। তারা বলেন,‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ কর্মসূচি পালন করতেছিলাম এমন সময় পুলিশ আমাদের উপর অন্যায়ভাবে আক্রমণ করে, এতে আমাদের অনেকে হতাহতের স্বীকার হয়েছে, আমরা পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।’ ‘ আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো, সামনে আরো তীব্র আন্দোলন হবে।’ বলেও জানান তারা।
সবশেষে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে তারা আজকের মতো আন্দোলন সমাপ্ত করেন।
উল্লেখ্য, আজকে সারাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলনে পুলিশ গুলি, টিয়ার গ্যাস সহ নানাভাবে বাধা প্রদান করে। এসময় অনেকে আহত হোন সাথে সাথে একজন নিহতও হোন বলে জানা গেছে।