কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় একরাতে ৪ বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। বুধবার (১ জানুয়ারি) গভীর রাতে উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের আমিন উল্যার নতুন বাড়ী,ক্যাপ্টেন্নার গো বাড়ীতে ডাকাতি এবং বিএনপি নেতা জিয়াউল হক জিয়ার ভাই মমিনের বসতঘরে ও একই এলাকার ইসমাইল মিস্ত্রীর বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগীদের ভাষ্যমতে, গভীর রাতে ২০-২৫ জনের একদল ডাকাত তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়ে।ডাকাতদল সকলকে বেধে,পিটিয়ে আহত করে। এ সময় তারা স্বর্ণালংকার এবং নগদ ৪৯ হাজার টাকাসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরে ডাকাতরা একই এলাকার মমিনের বসতঘরে ও একই এলাকার ইসমাইল মিস্ত্রীর বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
এছাড়াও বেশ কয়েকদিন যাবত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গরু চুরির হিড়িক পড়েছে।গত বুধবার রাতে চরহাজারী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের নুর নবী বাহারের ২ টি,আবুল হাসেমের ২ টি এবং এর কয়েকদিন আগে চরপার্বতী ইউনিয়নের জামালের ২ টি গরুসহ উপজেলার রামপুর,চর ফকিরা ইউনিয়নে গরু চুরির ঘটনা ঘটে।
এদিকে গত ২৯ ডিসেম্বর গভীর রাতে চরকাঁকড়া ইউনিয়নে যুবদল নেতা ফখরুল ইসলাম ছোটনের বাড়িতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৪ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ২ লাখ ৩৬ হাজার টাকাসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতদল।এ ঘটনায় অভিযোগ দায়েরের পরও ডাকাতির মালামাল উদ্ধার ও কেউ গ্রেফতার হয়নি।তিন দিনের ব্যবধানে একই ইউনিয়নে একাধিক ডাকাতির ঘটনা এবং ডাকাতির চেষ্টার ঘটনা ঘটায় সাধারন মানুষের মাঝে ব্যাপক উদ্বেগ এবং আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম জানান, খবর পেয়ে পুলিশের টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।ভুক্তভোগীদের থানায় অভিযোগ দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। আমরা দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেবো।গত ৩০ ডিসেম্বর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় হঠাৎ করে ডাকাতি ও গরু চুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় সভায় অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করে।