মোঃ আশরাফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ । কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন মানিকগঞ্জের স্থানীয় কামাররা। কোরবানির পশু জবাই ও মাংস কাটার জন্য তৈরি করা হচ্ছে ছুরি, চাপাতি, দা, বঁটিসহ নানাবিধ সরঞ্জাম ।
হাতুড়ি আর লোহার টুংটাং শব্দে রাতদিন মুখরিত থাকে কামার পাড়া।কেউ হাঁপর টানছেন, সেই হাঁপরে পুড়ছেন কয়লা, জ্বলছে লোহা। কেউ কেউ হাতুড়ি পিটিয়ে তৈরি করছেন দা, বটি, ছুরিসহ মাংস কাটার বিভিন্ন সরঞ্জাম।
সরেজমিনে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পশু কোরবানি ও মাংস কাটার সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। অনেকেই পশু কোরবানির জন্য নতুন করে দা, ছুরি, চাপাতি তৈরি করছেন। কেউ কেউ পুরোনো সরঞ্জামে শান বা লবণ-পানি দেওয়ার কাজ করছেন।
মকিমপুর এলাকার সাঈম জানান, আমি প্রতি বছরই কোরবানির ঈদে গরু কোরবানি দেই। এবারও কোরবানি দেব। তাই আগে থেকেই ছুরি ও চাপাতিতে শান দিয়ে রাখছি।
স্থানীয় মসজিদের ইমাম হাফেজ শফিউল বাশার জানান, ছুরি দিয়ে কোরবানির পশু জবাই করার সময় অসাবধানতা বশত ছুরি হাড়ে লাগে। এতে ছুরি ধারালো অংশ ভেঙে বা বেকে যায়। কোরবানির পশু জবাই করার জন্য ধারালো ছুরি ব্যবহার করতে হয়। কোরাবানির ঈদের আগে অনেক সময় ছুরির মুখ আরো ধারালো করতে কামারদের শরণাপন্ন হতে হয়।
কামার নরেন দাশ জানান, ছুরি ১০০ থেকে ৩০০ টাকা, দা আকৃতির সরঞ্জাম ২০০ থেকে ৫০০ টাকা, হাড় কোপানোর চাপাতি ৩০০ থেকে ৯০০ টাকা। তবে লোহার আকৃতির কারণে এর দাম কম বেশি হয়ে থাকে। এছাড়া পুরোনো দা, বটি, ছুড়ি শান দিতে বা লবণ-পানি দিতে ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়ে থাকে। নতুন আধুনিক অনেক সরঞ্জাম আসাতে আমাদের ক্রেতা আগের থেকে অনেক কমে গেছে।
সঞ্জয় কর্মকার বলেন, বছরের এই ঈদ মৌসুমটাই আমাদের মূল টার্গেট থাকে। বছরের কয়েকটা দিন ভালো টাকা, ভালো উপার্জন করার চিন্তা করলে এই দিনগুলো ঘিরেই করা হয়।