খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খাগড়াছড়ি সদরে মগ লিবারেশন পার্টির সশস্ত্র শাখার প্রধান কংচাই মারমা নিহত হয়েছেন। এ সময় ইসমাইল হোসেন নামে এক সহযোগীকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে।
সেনাবাহিনী সুত্র জানায়, ১৫ আগস্ট শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে সিন্দুকছড়ি জোনের নেতৃত্বে মানিকছড়ি উপজেলার গাড়িটানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইসমাইল হোসেনকে ২টি এলজি ও ৫ রাউন্ড কার্টুজসহ গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জেলা সদরের শান্তিনগর এলাকায় সকাল সাড়ে ৯ টায় কংচাই মারমাকে ধরতে আরেকটি অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। অভিযানকালে নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে কংচাই মারমা তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে সেনাদের লক্ষ্য করে ১ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পরে পালানোর সুযোগ না পেয়ে ছাদ থেকে লাফ দিলে গুরুতর আহত হয়। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ধারণা করা হচ্ছে, উঁচু থেকে পড়ে যাওয়ার আঘাতেই তার মৃত্যু হয়েছে।
নিহত কংচাই মারমা মহালছড়ি উপজেলার অংসাজাই মারমার ছেলে। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক দিপা ত্রিপুরা জানান, সকাল ১০টার পর সেনাবাহিনী আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান। তার শরীরে উচ্চতা থেকে পড়ে যাওয়ার আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্ত শেষে জানা যাবে।
সেনাবাহিনীর ভাষ্য অনুযায়ী, কংচাই মারমা দীর্ঘদিন ধরে খাগড়াছড়ি এলাকায় অপহরণ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ত্রাস সৃষ্টি করেছিল। তার বিরুদ্ধে একাধিক অপহরণের মামলা রয়েছে। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযান শেষে ঘটনাস্থল থেকে ১টি ৯ মি.মি. পিস্তল, ৫টি এলজি, ২১ রাউন্ড কার্টুজ এবং ১৮ রাউন্ড পিস্তলের গুলি উদ্ধার করা হয়।