বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
খুলনায় বছরের শুরুতে গ্যাস সহ সকল ধরনের নিত্য পণ্য ধাপে ধাপে মূল্য বৃদ্ধির বিরূপ প্রভাব পড়েছে সাধারণ জনমনে।
খুলনার ভোক্তারা বলছে, বলতে গেলে রাত পোহালেই ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আর সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করছে সরকার আর অপরদিকে দেশের সকল শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা সকল ধরনের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মহা উৎসবে মেতে উঠলে ও তাতে সরকারের কোন ভ্রুক্ষেপ নাই।
সুযোগের সদ্ব্যবহার হিসেবে বছরের শুরুতেই আরো একধাপ মূল্যবৃদ্ধি পেয়ে বোতল প্রতি ১২ কেজি এলপিজি গ্যাসে ২৯ টাকা বাড়তি মূল্য নির্ধারণ করে এক হাজার ৪৩৩ টাকা প্রতি ১২ কেজি এলপিজির দাম রেগুলেটরি সংস্থা বিইআরসি ২ জানুয়ারি সন্ধ্যা থেকে বাজার পর্যায়ে কার্যকর করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে।
তাতে করে গুদামে যত মজুদ গ্যাস ছিল তাও বর্তমান নির্ধারিত মূল্যর কমে বিক্রি করছে না পারলে আরো বাড়িয়ে নেওয়ার পায়তারা করছে খুলনার বিভিন্ন গ্যাস সিলিন্ডার ডিলার ব্যবসায়ীরা।
যার দরুন চরম বেকায়দায় পড়েছে ভোক্তারা।
এ সময় বাজারে উপস্থিত সকল শ্রেণীর ভোক্তারা অভিযোগ করে আরো বলেন শুধু গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধিতেই ব্যবসায়ীরা অব্যাহতি দিচ্ছে না। কারণ বর্তমান পৌষ মাঘ মাসে শীতকালে তরিতরকারির ভরা মৌসুম থাকা সত্ত্বেও সকল কিছুর দাম এখন ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।
বর্তমান দেশে পর্যাপ্ত উৎপাদিত আলু যার কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা যা অন্যান্য বছর ঠিক এই সময় একশত টাকায় হরহামেশায় ৬ থেকে ৭ কেজি আলু বাজারে বিক্রি হতো।
আলু পেঁয়াজের কথা তো বাদই দিলাম ফুলকপি, বেগুন, সিম, লাউ, টমেটো, কাঁচামরিচ, পালন শাক সহ সকল শ্রেণীর তড়ি তরকারির দাম ইতিহাসের সর্বকালের সর্বোচ্চ রেকর্ড ভঙ্গ করে তারা এখন শীর্ষ কাতারে। সাথে প্রতিযোগিতায় পাল্লা দিচ্ছে তেল, ডাউল, চিনি সহ অন্যান্য মসলা সামগ্রী।
আজ দুপুর পর্যন্ত খুলনা নগরীর বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজার সরজমিনে গিয়ে লক্ষ্য করা গেছে ফুলকপি প্রতি কেজি ৬০ টাকা,পাতাকপি প্রতি কেজি ৪০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৬০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, সিম ৬০ টাকা, পেঁয়াজের কালি ৪০ টাকা, লাউ প্রতি পিচ প্রকার ভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা,
এদিকে দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজের উৎপাদন ও সরবরাহ থাকা সত্বেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা।
তবে এসব ক্ষেত্রে ক্রেতাদের অভিযোগ অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর সরকার নির্বাচন মুখী থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা তাদের খেয়াল খুশি সুযোগ-সুবিধা মতন বিগত বছরগুলোর তুলনায় কাঁচা তড়ি তরকারি সহ মাছ মাংস ও অন্যান্য পণ্য সামগ্রীর ওপর ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত দাম বৃদ্ধি করে বাজার সর্বদা ঊর্ধ্বগতি রেখেছে।
তবে এক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষক ও ভোক্তা অধিকার সংস্থার কোন কর্তাদের বাজার পর্যায়ে মনিটরিং করতে দেখা যাচ্ছে না। দেখা গেলেও মাঝেমধ্য হাতে গোনা কয়েকটি দোকানে দায়সারা ভাবে তৎপরতা চালাতে দেখা গেলে তারা চলে গেলে আবারো পূর্বের অবস্থানে ফিরে যথেচ্ছাচার ভাবে ব্যবসা চালাচ্ছে ব্যবসায়ীরা আর এতে অর্থনৈতিক দুর্বল অবস্থানে থাকা সাধারণ মধ্যম আয়ের মানুষেরা জীবন ধারণ করবে কিভাবে তা নিয়ে সন্ধিহানে দিন কাটাচ্ছে তাঁরা ।