বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো :
একদিকে দেশে দ্রব্যমূল্য প্রতিনিয়ত লাফিয়ে লাফিয়ে ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কারণে দেশের সকল শ্রেণীর মানুষদের উঠছে নাভিশ্বাস তার মধ্যে অতি কষ্টের দৈনন্দিন খেটে খাওয়া শ্রমিক শ্রেণীর মানুষেরা। ফলে শেখ হাসিনা সরকার দেশের নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষদের কথা বিবেচনায় রেখে ভর্তুকি মূল্যে দেশের অসহায় দরিদ্র এক কোটি পরিবারের মাঝে কার্ডের মাধ্যমে টিসিবি পণ্য দেওয়ার কথা থাকলেও বেশ কিছুদিন যাবৎ নানান অনিয়ম চলছে টিসিবির পন্য নিয়ে এতে বঞ্চিত হচ্ছে কার্ডধারী বেশকিছু ভোক্তা। গেল রমজান মাসে দুই ধাপে এবং চলতি মাসের প্রথম পর্যায়ে ওয়ার্ড ভিত্তিকভাবে কার্ড ধারে গ্রাহকদের মাঝে টিসিবি পণ্য বিতরণ করলেও নানান অভিযোগ রয়েছে তা নিয়ে নগরীর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে এমন একজন ভুক্তভোগী ভোক্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন
সকাল থেকে শেষ বিকাল পর্যন্ত কাটফাঁটা রোদ্রু মাথায় নিয়ে ঘাম ঝরানো গরম উপেক্ষা করে দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি ও অভাবের সংসারে একটু সচ্ছলতার প্রত্যাশায় প্রতি মাসে স্বল্পমূল্যয় টিসিবি পন্যের ২ কেজি ডাল আর দুই লিটার তেলের প্রতিক্ষায় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও অবশেষে খালি হাতে ফিরে আসতে হচ্ছে আমাদের মতন সাধারণ ভোক্তাদের।
তারপরে টিসিবি পণ্যে ডাল চিনি ও ২ লিটার তেল উল্লেখ থাকলেও গত দুই বছর যাবত চিনি দিচ্ছে না টিসিবি ডিলাররা।
অথচ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের এক কোটি দরিদ্র পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে কার্ডের মাধ্যমে টিসিবি পণ্য দেওয়ার কথা থাকলেও বঞ্চিত থাকছে অধিকাংশ অতি দরিদ্র পরিবারের কার্ডধারী ভোক্তারা। সবকিছু মিলিয়ে আমরা নিন্ম আয়ের মানুষরা আকাশ ছোয়া দ্রব্যমূল্যর বাজারের সকল নিত্যপণ্য যেন আমাদের মতন মানুষদের কাছে সোনার হরিণ।
বঞ্চিত ভোক্তাদের অভিযোগ সরকারতো আমরা যারা টিসিবির কার্ড পেয়েছি তাদের কার্ড হিসেব করেই ডিলারদের মাধ্যমে পণ্য দিয়েছে সেক্ষেত্রে আমাদের কার্ড আছে অথচ পণ্য নাই তাহলে আমাদের পণ্যগুলো গেল কোথায়।
এলাকার কমিশনাররা আমাদের প্রথম প্রথম কার্ড দেওয়ার পর কিছুদিন টিসিবির প্যাকেজ পণ্য সুবিধা পেলেও এখন সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত। অথচ এ ব্যাপারে এলাকার কর্তাদের কাছে অভিযোগের সূত্রে জানতে চাইলে তারা উদাসীনভাবে বলে সরকার যখন যেটা যেভাবে সুবিধা দিচ্ছে সেই পরিমাণের সুবিধা সকল গ্রাহকরাই পাচ্ছে। তবে বর্তমান টিসিবির পণ্য ডিপো থেকে চাহিদা পূরণ করতে না পারার কারণে হাতে গোনা কিছুসংখ্যক গ্রাহকরা হয়তোবা বঞ্চিত হচ্ছে।
এক্ষেত্রে খুলনা নগরীর বেশ কিছু জনপ্রতিনিধিদের ভাষ্য বর্তমানে হয়তো এমন সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তবে আগামী মাস থেকে
এ সমস্যা আর থাকবে না। ওপরন্ত সরকারি ভর্তুকি মূল্য টিসিবির কার্ডধারি ভোক্তারা বাড়তী সুবিধা হিসেবে পাচ্ছে ৫ কেজি করে চাউল রমযান মাসে ছোলা এবং খেজুর দেওয়া হয়েছে যা বর্তমানে দ্রব্য মূল্যর উর্ধ্বগতির ক্রান্তি লগ্নে কিছুটা হলেও তাদের মুশকিল আসান হয়েছে।
অথচ ভুক্তভোগী বঞ্চিত গ্রাহকরা বলছে আমাদের ঘন্টার পর ঘন্টা রোদের মধ্যো লাইনে দাঁড় করে রেখে টিসিবির গাড়িতে মাল থাকা সত্ত্বেও পণ্য শেষ বলে খালি হাতে ফিরিয়ে দিয়ে কার্ড বিহীন তাদের নিজস্ব ব্যক্তিদের গোপনে পাচার করে দিচ্ছে অসংখ্য প্যাকেজ।
এদিকে আর একজন ভুক্তভোগী বলেন টিসিবির কিছু নামধারী ডিলার গোপন জায়গায় মাল সরিয়ে রেখে তাদের পরিচিত ব্যক্তিদের ফোন দিয়ে সরকার নির্ধারিত মূল্য থেকেও ৫০ থেকে ৮০ টাকা প্যাকেজপ্রতি বেশী নিয়ে সেগুলো রাতের অন্ধকারে হরহামেশা বিক্রি করছে।
অথচ এ বিষয়ে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা একেবারে নিশ্চুপ নিরব ভূমিকায় রয়েছে । এক্ষেত্রে ভুক্তভোগীদের জোরালো অভিযোগ আমাদের প্রাপ্য আমাদের বুঝিয়ে দেয়া হোক।
এদিকে খুলনা ট্রেডিংকর্পোরেশন এর আঞ্চলিক অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট পণ্য সংকটের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন বর্তমানে আমাদের টিসিবি থেকে শুধু মাত্র ২ কেজি মশুর ডাউল আর ২ লিটার তেল দেওয়া হচ্ছে।
তবে গ্রাহক অনুপাতে প্যাকেজ এর কোন ঘাড়তি নাই বলে তিনি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।