বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
নতুন আলু কেজি ৪০, পুরাতন আলু ৬০ পিঁয়াজের ঝাঁঝে ঝলসে উঠছে বাজার।
এদিকে ডলারের অজুহাতে মূল্য বাড়াতে সুযোগ খুঁজে উচ্চদরে মাথা জাগিয়ে দাঁড়িয়েছে রসুন, চিনি, মসুর ডাল।
এ যেন এক অন্যরকম মহামারীতে মূল্য বৃদ্ধি আক্রান্তে পণ্য সামগ্রী।
এতে জীবন যন্ত্রণার অন্ত নাই সাধারণ মানুষদের।
এদিকে দেশের সিন্ডিকেট আমদানি কারক মজুদ ব্যবসায়ীরা এখন সাধারণ জনগণের কথা বিবেচনার অন্তরালে রেখে সরকার অথবা পার্শবর্তী দেশগুলো কোনো পণ্য এদেশে আমদানী রপ্তানির ক্ষেত্রে নেতিবাচক কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আভাষ পেতে না পেতে তৎকালীন ইংরেজ শাসকদের মতন অসহায় নীল চাষীদের হারভাঙ্গা খাটনির ঘাম ঝরা শরীরের রক্ত চুষে খাওয়ার মতো পাঁয়তারায় মেতে উঠলেও এদের লাগাম টেনে ধরার মতন কেউ নাই।
আর এমন ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত এই বাংলাদেশে।
কারণ গত একদিন আগে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের একটি গণমাধ্যমে প্রচার হয়েছিল পিয়াজ জামদানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা কঠোর অবস্থানে ওই দেশেরই কর্তারা।
আর সেই আভাষের সূত্র ধরে মাত্র দুই ঘন্টার ব্যবধানে খুলনার পিয়াজ ব্যবসায়ীরা মেতে উঠেছে খামখেয়ালী তামশায়।
এবং সাথে সাথে বাজারে পেঁয়াজের তারল্য সংকট দেখিয়ে দাম হাঁকিয়েছে কেজি প্রতি দ্বিগুণ।
সাথে একই কাতারে সামিল হয়েছে রসুন, চিনি, ও মসুরের ডাল।
এসব কথা বললেন খুলনা নাগরিক সমাজের দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা।
এ সময় তিনি আরো বলেন শীত মৌসুম শীতকালীন তরি তরকারি শাকসবজি একটু স্বাভাবিক অবস্থায় থাকলেও ডাল চিনি পেঁয়াজ রসুন মিলে অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে বাজার।
এতে অশান্তির দাবানলে জ্বলে পুড়ে মরছে সাধারণ নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষেরা।
বাজার থেকে শুধু শাকসবজি কম দামে বস্তা ভরে কিনলে সেটি তো আর কাঁচা চীবিয়ে খাওয়া যায় না সেটাকে সিদ্ধ অথবা রান্না করতেও তেল মসলার প্রয়োজন হয়।
আর সে ক্ষেত্রে যদি এই সকল
অতি প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য আকাশ ছোঁয়া হয় তাহলে পরিবারের সদস্যদের মুখে দুবেলা দুমুঠো অন্ন তুলে দেওয়া থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে আমাদের।
তবুও এ সকল অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের লাগাম টানতে তৎপর হচ্ছে না সরকারের কোন মহল।
যার কারনে ব্যবসায়ীদের যথেচ্ছাচার আচরণের ভুক্তভোগী অসহায় মানুষেরা।
তার মূল কারণ ব্যবসায়ীরা জানে যে নিত্য প্রয়োজনীয় এ সকল দ্রব্যগুলো মানুষের অতি প্রয়োজনীয় আর এই পণ্যগুলি ছাড়া মানুষের দৈনন্দিন জীবন একেবারেই অচল।
আর সেই সুযোগকে তারা কাজে লাগিয়ে অসৎ উপায়ে প্রতিনিয়ত কামিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা।