বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
ঢাকা ও অন্যান্য জেলার পর এবার
খুলনায় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভংচুর করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা । (২ নভেম্বর শনিবার ) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে নগরীর ডাকবাংলা মোড়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতার একটি মিছিল এসে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায় যা প্রত্যাখ্যাদর্শী স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করে । পরে সাতটার দিকে জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতাকর্মীরা এসে ঘটনা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সরকারের নিন্দা করে বলে আমরা তো বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের পাশেই ছিলাম আপনারা যতই আমাদের আওয়ামী লীগের দোসর বলে চিহ্নিত করেন না কেন আমরা আওয়ামী লীগকে কখনো সমর্থন দেইনি। ঘটনার আতঙ্কে তাৎক্ষণিকভাবে আশপাশের দোকানপাটগুলো বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনার পর ডাকবাংলা এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানাশ সন্ধ্যা ৬ টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা মিছিল সহকারে ডাকবাংলা মোড়ে আসে। এ সময়ে ওই মিছিলের ছাত্র জনতাকে বেশ উত্তেজিত দেখা গিয়েছিল। তারা ডাকবাংলা মোড় পার হয়ে জাতীয় পার্টির খুলনা মহানগর ও জেলা কার্যালয়ের সাইনবোর্ড ভেঙ্গে ফেলে। পরবর্তীতে তারা কার্যালয়ের ভেতর প্রবেশ করে চেয়ার এবং টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর চালায়। এরপর ভাঙ্গাচুরা মালামাল বাইরে এনে অগ্নিসংযোগ করে। পরে তারা জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।এদিকে খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মনিরুল গিয়াস বলেন, বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা সন্ধ্যা ৬ টার দিকে মিছিল সহকারে এসে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে অতর্কিত হামলা করে। তারা অফিসকে কেন্দ্র করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। কার্যালয়ের ভেতর থেকে ২টি প্লাষ্টিকের চেয়ার বাইরে অগ্নিসংযোগ করে। যারা আক্রমণ করেছে তাদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
পাশাপাশি তিনি আরো বলেন বিক্ষিপ্ত ছাত্র জনতার মিছিলের মধ্যে সুযোগ বুঝে বেশ কিছু দুষ্কৃতকারীরা প্রবেশ করে ঘটনা আরো বেগতিকভাবে ঘটিয়েছে অগ্নিসংযোগ করেছে এবং লুটপাট করেছে। তবে তাদেরকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে দুষ্কৃতকারীরা যাই হোক তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।