বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
ভারতীয় ভিসা প্রাপ্তি খুলনার মানুষের কাছে এখন সোনার হরিণ। ভিসার আবেদন অনলাইন করার পর জমা দেওয়ার লম্বা সময় ৩ থেকে ৪ মাসের অধিক অপেক্ষা তারপর আবার ভিসা আবেদন জমা দেওয়ার সময় অফিশিয়াল কর্মকর্তাদের নিত্যদিনের কাগজপত্রের নিয়ম পরিবর্তনের নানান অজুহাতে অসংখ্য আবেদনকারী হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
বিনা কারণে ফেরত দিচ্ছে অনেক আবেদনকারীদের।
তারপর আবার আবেদন জমাদানের পরবর্তী ১০ দিন মেয়াদান্তে ভিসা ডেলিভারি দেওয়ার টোকেন দিলেও সময় মতন মিলছে না ভিসা।আবেদনকারীদের অভিযোগ দেশের অন্য অন্য বিভাগে যেমন তেমন খুলনা অঞ্চল থেকে ভারতীয় ভিসা প্রাপ্তির বিড়ম্বনা যেন কিছুতেই কেটে উঠছেনা।আর এই জটিলতা চলমান অবস্থায় তিন বছর অধিক সময় ধরে অতিবাহিত হয়ে গেলেও তবুও মিলছে না এর কোন সুষ্ঠু প্রতিকার। বিশেষ করে অতি অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও দ্রুত মেডিকেল ভিসা প্রাপ্তির নাই কোন আলাদা কোটা বা সুবিধা। ফলে অসংখ্য মুমূর্ষ রোগীদের জীবন মরণ সন্ধিক্ষণে কাটছে। তবে কোন কোন বিশেষ ক্ষেত্রে খুলনায় নিয়োজিত ভারতীয় হাই কমিশনারের কার্যালয় নগরীর শামসুর রহমান রোডে প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত অসংখ্য ভারতীয় ভিসা প্রত্যাশী মানুষদের আনাগোনা ভিড় পরিলক্ষিত হয়। হাই কমিশনার অফিস সূত্রে জানা যায় এখানে যে সকল মানুষেরা প্রতিদিন এসে ভিড় করছে সে সকল ব্যক্তিদের ভিসা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ভিসা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের ভিসা প্রাপ্তি ব্যক্তির বিরুদ্ধে সন্দেহ বা কোন ত্রুটি এবং অতি মুমূর্ষ রোগীদের ক্ষেত্রে ভিসা প্রাপ্তির জন্য স্থানীয় উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সুপারিশে হাই কমিশনার ইন্দজিৎ সাগর এর সাথে দেখা করার জন্য অ্যাসাইনমেন্ট অনুযায়ী তানার সাথে দেখা করার পর যদি তার হৃদয় সদয় হয় সে ক্ষেত্রে ১ থেকে ২ সপ্তাহ সময় হয়তো এগিয়ে দিতে পারে তাছাড়া কোন সুবিধা সেখানেও মিলছে না অসহায় মানুষদের ক্ষেত্রে সদয় হচ্ছেন না হাইকমিশনার। তবে দীর্ঘদিনের এই জটিলতা নিরসনের লক্ষ্যে কোন ব্যক্তি বা সংগঠন এগিয়ে না আসলে ও এগিয়ে এসেছে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির নেতৃবৃন্দ শুধুমাত্র ভারতীয় ভিসা প্রাপ্তির জটিলতার ক্ষেত্রে অসংখ্য অভিযোগ এসেছে তাদের কাছে আর সাধারণ মানুষের সকল অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রতিবাদ করে বিবৃতিও দিয়েছেন।
তুলে ধরেছেন ভিসা প্রদানকারী অফিসের অন্তরালের অনেক কাহিনী আর এ সকল বিষয়ে নাগরিক ভাবনার সাথে কথা বলে উল্লেখিত সংগঠনের সভাপতি শেখ আশরাফুজ্জামান জানিয়েছেন খুলনা অঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিন থেকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে চিকিৎসা ব্যবসা ও ভ্রমণের জন্য ভারত গমন করে থাকেন তবে ভারতীয় ভিসা প্রক্রিয়ায় অন্যান্য অঞ্চল থেকে খুলনা অঞ্চলের মানুষের ভারতীয় ভিসার বিড়ম্বনা দীর্ঘ সময় ক্ষেপণ ও নানাবিধ জটিলতার কারণে চিকিৎসা ব্যবসা ও ভ্রমণ পিপাসুরা সময় মতো ভিসা পাচ্ছে না যে কারণে জরুরী ভিসা প্রাপ্তির জন্য এ অঞ্চলের মানুষ ঢাকায় যেতে বাধ্য হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন এ অঞ্চলের মানুষ ভারতীয় ভিসা প্রক্রিয়া সহ দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করার জন্য ভারতীয় দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি এবং বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টিও দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
পাশাপাশি ভুক্তভোগীদের কথা আমরা যারা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে যাই তারা নিত্যান্ত ঠেকে পড়েই যাই। হয় কেউ চিকিৎসার জন্য নয়তোবা জরুরী কাজ বা ব্যবসা বা অন্যান্য বিশেষ কারণে। তবে এক ভিসা পেতে যদি তিন থেকে চার মাস অপেক্ষা করতে হয় তাহলে ভারত গমন ইচ্ছুক মানুষদের সকল প্রয়োজনই ভেস্তে যেতে বসে
তার মধ্য বিশেষভাবে অধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে অসংখ্য রোগীদের। এক্ষেত্রে অভিযোগকারীরা আরো বলেন সাধারণত মানুষদের চিকিৎসার জন্য অতি প্রয়োজনীয় মেডিকেল ভিসার ক্ষেত্রে এমন জটিলতা থাকে তাহলে অনেক অসুস্থ রোগীদের মুমূর্ষ অবস্থায় মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে সে ক্ষেত্রে আমরা মনে করি অন্তত মেডিকেল ভিসার ক্ষেত্রে শিথিলতা করাটা একান্তই জরুরি।