ঢাকাMonday , 12 August 2024
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অভিযোগ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন আদালত
  6. আটক
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আবহাওয়া
  9. ইতিহাস
  10. কবিতা
  11. কুষ্টিয়া
  12. কৃষি
  13. খুন
  14. খেলাধুলা
  15. চাকুরী
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • বিজ্ঞাপন

    বিজ্ঞাপন

  • খুলনায় মাধ্যমিক স্তরের শ্রেনী কার্যক্রম নিয়ে বিপাকে শিক্ষক – শিক্ষার্থী ও অভিভাবক।

    দেশ চ্যানেল
    August 12, 2024 12:48 pm
    Link Copied!

    ছবি:জিয়া চৌধুরী (খুলনা প্রতিনিধি)

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে সারা দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে গত ১৮ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক -২) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ১৬/০৭/২০২৪ ইং তারিখে প্রদত্ত প্রেস রিলিজের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

    ছাত্র জনতার অসহযোগ আন্দলোনের কারণে বাধ্য হয়ে গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যান। তার একদিন পরে দেশের বিদ্যামান পরিস্থিতি নিয়ে জাতির উদ্দ্যেশ্যে ভাষণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার -উজ -জামান স্কুল, কলেজ, মাদরাসা সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেন।

    বিজ্ঞাপন

    স্কুল কলেজ খুলে দেওয়ার পর থেকে শিক্ষকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হলে ও শিক্ষার্থীদের তেমন একটা উপস্থিতি দেখা যায় না।

    তাছাড়া দেশের আইন শৃংখলা ভেঙ্গে পড়ায় ও  পুলিশের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পুলিশ বাহিনী কর্মবিরতিতে গেলে শিক্ষার্থীরা জনসাধারণের জনমালের নিরাপত্তা রক্ষায় ও সড়কে যানবাহন নিরবিগ্নে  চলাচলের জন্য ট্রাফিক পুলিশের ভুমিকায় দ্বায়িত্ব পালনে ঝাপিয়ে পড়েন।

     

    রাষ্ট্রের এই গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত্ব পালনের কারণে অল্প কিছু শিক্ষার্থী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসলে ও শিক্ষার্থীদের বড় একটা অংশ দেশ সংষ্কারের কাজ সহ ট্রাফিকের ভুমিকায় দ্বায়িত্ব পালনে নেমে পড়ে।

     

    তাছাড়া রাষ্ট্রের অনেক সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি, ভাংচুর, অগ্নি সংয়োগ, থানা ভবন পুড়িয়ে দেওয়ায় যে ক্ষতি ও  অবর্জনার সৃষ্টি হয়েছে সেগুলো পরিষ্কার পরিছন্ন করার কাজে  নিজেদের নিয়োজিত রাখে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া শিক্ষার্থীরা দেশ কে নতুন ভাবে সাজাতে গ্রাম, গঞ্জ, পাড়া – মহল্লা ও শহরের অলিতে গলিতে বিভন্ন দেওয়ালে গ্রাফিতি, দেওয়াল লিখন, চিত্রাঙ্কন কাজে ব্যাস্ত সময় পার করছেন।

     

    এদিকে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ সাধারণ শিক্ষকদের শ্রেণি কার্যক্রম চালানোর  ব্যাপারে চাপ প্রয়োগ করছেন বলে জানা যায়। যার কারণে  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্য দ্বিমত সহ নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কিছু শিক্ষক বলছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দিলে ও শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার ঘোষণা সরকারের পক্ষ থেকে এখন ও দেওয়া হয়নি। সকল শিক্ষার্থী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে আসলেই শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হবে। তাছাড়া শ্রেণি কার্যক্রম চালনার ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসতে হবে।

     

    গত শুক্রবার (৯ আগস্ট) অন্তবর্তীকালিন সরকারে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান কে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবে খোলা হবে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের  উত্তরে তিনি জানান সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নেই সেজন্য শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক পুলিশের ভুমিকায় দ্বায়িত্ব পালন করছে, তাছাড়া শিক্ষক সমাজের সাথে কথা বলে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে এনে আইন শৃংখলার পরিস্থিতির সাথে সামঞ্জস্যতা বজায় রেখে যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।

    বিজ্ঞাপন

    খুলনা জেলা শিক্ষা অফিসার ফারহানা নাজ কে শ্রেনী কার্যক্রম পরিচালনার ব্যপারের জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান আই এস পি আর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া কথা বলা হয়েছে। শিক্ষকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাবেন। সড়কে ট্রাফিক না থাকায় অনেক শিক্ষার্থীরা ট্রাফিকের দ্বায়িত্ব পালন করছে।  শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকলে তাদের কে পাঠদান করাতে হবে। তবে আনুষ্ঠিক ভাবে শ্রেনী কার্যক্রম চালানোর ঘোষণা দেওয়া হয়নি। শিক্ষার্থীরা যেহেতু ট্রাফিকের দ্বায়িত্ব পালন করছে সেহেতু শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কক্ষে আসার জন্য চাপ প্রয়োগ করা যাবে না।

     

    শিক্ষক, অভিভাবক ও সাধারণ মানুষ  বলেন এখন দেশে অন্তবর্তীকালিন সরকার রয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসতে হবে শ্রেনী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য। কারণ শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ রাজপথে রয়েছে। তাদের কে বাদ দিয়ে স্বল্প সংখক শিক্ষার্থীদের নিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করলে রাজপথে থাকা শিক্ষার্থীরা শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত হবে। তারা শিক্ষা থেকে পিছিয়ে পড়বে। সরকারের পক্ষ থেকে নোটিশ জারি করে সকল শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কক্ষে ফিরিয়ে আনতে হবে। সকল শিক্ষার্থী শ্রেণি কক্ষে ফিরে এলে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার অভিমত ব্যাক্ত করেন।

     

    শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে অন্তবর্তীকালিন সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বক্তব্য ও খুলনা জেলা শিক্ষা অফিসার ফারহানা নাজের বক্তব্যের মিল না থাকায় শিক্ষক – শিক্ষিকা, অভিভাবক সহ সাধারণ মানুষ পড়েছে বিপাকে।

    এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
  • Design & Developed by: BD IT HOST