বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
হে প্রভু তব শান্তির বাণীতে বিশ্ব চরাচরের সকল প্রাণীর মাঝে অহৈতুকি শান্তি বর্ষিত হোক প্রাণে প্রাণে, শান্তিময় হোক বিশ্ব চরাচর। প্রভু গৌতম বুদ্ধের শ্রীচরণে এই প্রত্যাশা নিয়ে আজ ২২ মে বুধবার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বৌদ্ধ পূর্ণিমা পালিত হচ্ছে । দিবস টি উপলক্ষে আজ প্রভাতে খুলনা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রভুর উদ্দেশ্য পুষ্পার্ঘ নিবেদন প্রদীপ প্রজ্জলন ত্রিপিটক পাঠ ও মাঙ্গলিক ক্রিয়া কার্যের মধ্য দিয়ে দিনটির শুভ সূচনা করেন বৌদ্ধ ভিক্ষু প্রমানন্দ মহারাজ।
পরে তিনি দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন বৌদ্ধ ধর্ম মতে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে আজকের এই দিনে পরম পুরুষোত্তম শ্রী গৌতম বুদ্ধ পৃথিবীতে অহিংসার বাণীও শান্তি প্রতিষ্ঠাকল্পে আবির্ভূত হয়েছিলেন বুদ্ধর শুভ জন্ম, বোধিজ্ঞান ও মহাপরিনির্বাণ লাভ এই তিন স্মৃতি বিজড়িত বৈশাখী পূর্ণিমা যা বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কাছে বুদ্ধ পূর্ণিমা নামে পরিচিত। এ সময় তিনি আরো বলেন বৌদ্ধ পৃথিবীতে এসেছিলেন অহিংসা ও শান্তির বাণী প্রচারে শান্তিময় পৃথিবী প্রতিষ্ঠিত করে কলহময় জগতের সকল প্রাণীকুল যখন হানাহানি অন্যের সম্পদে লালসায় লিপ্ত হয়ে প্রকৃত ধর্ম জ্ঞানকে বিলুপ্ত করে দিতে বসেছিল ঠিক সেই মুহূর্তে পৃথিবীর ভূলণ্ঠিত পথযাত্রীদের জ্ঞানের মাধ্যমে সঠিক পথপ্রদর্শন করতে।
পাশাপাশি খুলনা ২ আসনের সংসদ সদস্য বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষপুত্র শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল এমপি দেশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষদের উদ্দেশ্য করে বলেন এদেশ সকল ধর্মের মানুষের সম অধিকারের দেশ আর এই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আর এই দেশের মাটিতে সকল ধর্মের মানুষরা সাম্প্রদায়িকতার ভেদাভেদ ভুলে অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করে যে যার মতন স্বাধীনভাবে ধর্ম উৎসব আনন্দ পালন করবে এবং বর্তমান দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনবান্ধব সরকার তিনি সকল শ্রেণীর সকল ধর্মের মানুষদের ধর্মীয় উৎসব তথা সুখ দুঃখে পাশে আছেন এবং থাকবে দেশ উন্নয়নের অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছেন দেশ আরো উন্নয়ন হবে পাশাপাশি সকল ধর্মের মানুষদের উপাসনালয় গড়ে তুলে সেখানে যাতে তারা নির্দ্বিধায় ধর্ম পালন করতে পারে সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সর্বদা অগ্রভাগে থেকে তাদের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত এবং সম অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে যা যা প্রয়োজন তা করবে। এ সময় তিনি আরো বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দেশের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই সকল জাতি ভেদাভেদ ভুলে সকল ধর্মের মানুষদের পাশে নিয়ে পাকিস্তান বিরোধী যুদ্ধের দামামা বাজিয়েছিলেন এবং যুদ্ধ চলাকালীন সময় তথা পূর্ব পাকিস্তানদের সাথে যুদ্ধ করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর আহবানে হিন্দু মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকল ধর্মের মানুষ জাতি ধর্ম ভেদাভেদ ভুলে রাজপথে নেমে এসেছিল বিধায় ৯ মাসের যুদ্ধে পাকিস্তানের পরাশক্তিকে পরাজিত করে দেশের আকাশে স্বাধীনতার বিজয় কেতন উড়াতে সক্ষম হয়েছিলেন। আজ আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশের স্বাধীন সার্বভৌম বাঙালি জাতি স্বাধীনচেতা ভাবে এদেশের ভূখণ্ডে সকল ধর্মের মানুষ আজ সম অধিকার নিয়ে বসবাস করছি তাছাড়া আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে সকল ধর্মের মানুষ নিরাপদে থাকতে পারে ধর্ম পালন করতে পারে উৎসব আনন্দ উপভোগ করতে পারে। তাই আজকে দেশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষদের বিশেষ ধর্মীয় অনুষ্ঠানের দিনে এমপি সালাউদ্দিন জুয়েল এসব কথা ব্যক্ত করেন।