বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
দেশের দক্ষিণ বিভাগ খুলনাঞ্চল জুড়ে শীতের মৌসুমে শীত না থাকায় নানান রোগ ব্যাধীতে আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন বয়সের মানুষেরা।
ষড় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ।
অথচ ঋতু যেন তার প্রকৃতির রূপ-বৈচিত্র বদলাতে ভুলেই গেছে কারণ আজ অঘ্রাহায়ণ মাসের ১৭ দিন পার হলেও শীতের দেখা নাই। ভ্যাপসা গরমে ফ্যান চালিয়ে ঘুমাতে হচ্ছে শহর বাসীদের।
মার্কেট শপিং মল গুলোতে ব্যবসায়ীরা দোকানদারি করছে এসি চালিয়ে। এতে করে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে অসংখ্য মানুষ।
শহরের বিভিন্ন হাসপাতালের তথ্যসূত্রে জানা গেছে ডেঙ্গুর পাশাপাশি সিজনাল কিছু রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে অনেক রোগী হাসপাতাল গুলোতে ভর্তি হচ্ছে।
এর মধ্যি বেশিরভাগ রোগী ভর্তি হচ্ছে সর্দি জ্বর গলায় ব্যথা আমাশা পাতলা পায়খানা শরীরের বিভিন্ন অংশ এবং পেটের ব্যথা নিয়ে।
বিশেষজ্ঞরা বলছে সময় মত ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে যদি সঠিক ভাবে তাপমাত্রা প্রকৃতির সাথে বিরাজ না করে তাহলে প্রকৃতির জীববৈচিত্র্য সহ মানবদেহের উপর এর প্রভাব বিস্তার করে।
আর এসব কারণে অনেক অজানা রোগ মানব সহ বিভিন্ন প্রাণীর দেহে বাসা বাঁধতে সক্ষম হয় ।
আর এর ফলে চিকিৎসকদের ও নতুন সিমটমের রোগীদের চিকিৎসা দিতে দ্বিধা দ্বন্দ্বের মধ্যে পরতে হচ্ছে।
এদিকে খুলনা বিভাগীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ জানিয়েছেন সারা বিশ্বব্যাপী জলবায়ুর উপর বিরুপ প্রতিক্রিয়ার প্রভাবের কারণে আবহাওয়ার বৈরী লীলা খেলা শুরু হয়েছে।
তিনি আরো বলেছেন বর্তমানে ঋতু হিসাব করলে এখন কনকনে শীতের প্রভাব থাকবে।
পাশাপাশি ভোর হলে দেখা যাবে রাস্তাঘাট ও গাছ-গাছালির পাতা কুয়াশায় ভেজা।
অথচ শহরের পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষেরা এখনো কঠিন শীত উপলব্ধি করছেনা।
অগ্রাহনের শেষে পৌঁষের শুরুতে কনকনে ঠোঁট কাপানো শীতে গরম কাপড় এঁটে শেটে মাঠে যেতে হতো কৃষকদের।
এখন সাধারণ পোশাকেই মাঠের কাজে বেরিয়ে পড়ছে খেটে খাওয়া মানুষেরা।
এর মূল কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন গেল মাসে দুটি গভীর নিম্নচাপ ও ঝড়ের কারণে আকাশে এখনো মেঘের প্রতিবন্ধকতা রয়েছে এবং দেশ-বিদেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের আবহাওয়াবিদরা নির্ণয় করেছে এ সপ্তাহে আরো একটি গভীর নিম্নচাপের কারণে সমুদ্র উত্তাল ও ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফলে সাগরের গভীর নিন্মচাপ ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির পর মেঘ কেটে না যাওয়া পর্যন্ত ঘন শীতের প্রভাব বিস্তার করবে না।