জিয়া চৌধুরী (খুলনা প্রতিনিধি)
জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জুয়েল রানা মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ ৩১ জন নেতাকর্মি কে বেকসুর খালাস দিয়েছে। খুলনা সদর থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় এ আদেশ প্রদান করেছেন।
রায় প্রকাশের পর মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, গত ১৫/১৬ বছর যাবত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার বিএনপিসহ বিরোধীদের গায়েবী মামলা, ঘড়যন্ত্রমুলক মামলা, মিথ্যা ও হয়রানিমুলক মামলা দিয়ে নির্যাতন করে আসছিল। দলের লাখ লাখ নেতা-কর্মি ফ্যাসিবাদ সরকারের মামলা নির্যাতন সহ্য করে রাজপথ ছাড়েনি। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় দেশের জনগণ মুক্তি পেয়েছে। আজকের এই রায় প্রমান করে হামলা-মামলা ও জুলুম-নির্যাতন করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না।
রায় ঘোষণাকালে আরিফ হোসেন মল্লিক ও শাহ নেওয়াজ জাহাঙ্গীর বাদে সকলেই আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
খালাসপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন, মো. খলিলুর রহমান সরকার, এম এ হাসনাত মিঠু, জিএম মঈনউদ্দিন, মো. নাসির উদ্দিন, মো. রিপন ফরাজী, মো. শাহআলম, মো. আমিন শেখ, মো. শুকুর আলী, মো. মাসুদ শেখ, মো. জামাল হাওলাদার, মো. মিরাজ হাওলাদার, মো. আজিজুল করিম, মোহাম্মদ আলী, মো. আবুল হায়াত ওরফে শুভ হক, মো. মুজিবর রহমান, মো. হাবিবুর রহমান, মো. হেলাল শেখ, মো. কামরান হাচান, মো. মাসুদ খান ওরফে বাদল, মো. মতিয়ার রহমান ওরফে বুলেট, মো. সেলিম খান, মো. ইসতিয়াক আহমেদ ইসতি, মো. মেজবাহ উদ্দিন মিজু, মো. ইসমাইল হোসেন, মো. কামাল হোসেন, মো. আরিফ হোসেন মল্লিক, মো. মাহমুদুর রহমান, মো. বাবুল হাওলাদার, শাহ নেওয়াজ জাহাঙ্গীর ও মো. ডালিম গাজী ওরফে সাদি।
আদালতের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী মো. ছায়েদুল হক শাহিন নথীর বরাত দিয়ে জানান, ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর স্যার ইকবাল রোডের হোটেল জেলিকো থেকে খুলনা থানা পুলিশ ঢাকা থেকে আসা মো. খলিলুর রহমান সরকার ও এম এ হাসনাত মিঠুকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে এসআই টিপু সুলতান বাদী হয়ে খলিলুর রহমান ও হাসনাত মিঠুসহ অজ্ঞাত ৩০/৩৫ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেন যার নং-৩২। ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই গোপীনাথ সরকার আদালতে নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে চার্জসিট দাখিল করেন। আসামিদের পক্ষে মামলার শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র এডভোকেট এস এম মনজুর আহমেদ, এড. জিল্লুর রহমান খান, এড. এস এম মুজিবর রহসান খান, এড. মোল্লা গোলাম মওলা, এড. এবিএম ওমর আলী, এড. মো. রফিকুল ইসলাম, এড. মো. কামাল হোসেন, এড. মো. ওমর ফারুক বনি, এড. সরফরাজ হোসেন হিরো ও মো. সিরাজুল মুনিরসহ আরো আইনজীবী।