বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
খুলনার বাজারগুলোতে শীত মৌসুমের সবজি থেকে শুরু করে কোনো কিছু সরবরাহের কমতি নাই তবু চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে আলু, পিঁয়াজ, ডিম, মাছ, মাংস, সবজি সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ভরা মৌসুমের সকল ধরনের চাউল যা প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ৮ টাকা পাশাপাশি নিত্য পণ্যের আকাশ ছোঁয়া দামের কারণে নাভিশ্বাসে জীবন বাঁচানোর চ্যালেঞ্জের মুখে ভোক্তারা
আর এতে করে স্বস্তিতে নাই কেউ।
সামনে রমজান মাস নিয়ে সরকারের নবগঠিত মন্ত্রী পরিষদের সকল মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে আসন্ন রমজান মাসকে লক্ষ্য রেখে সমষ্টিগতভাবে উদ্যোগ নিয়ে দেশের সকল ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রেখে সাধারণ মানুষদের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা আশ্বস্ত করে প্রতিশ্রুতি দিলেও দেশের উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের সরকারবিরোধী কট্টর সিদ্ধান্ত সরকারের মন্ত্রী পরিষদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভেস্তে যেতে বসেছে।
আর এতে দুশ্চিন্তার কালোমেঘ জমতে শুরু করেছে ভোক্তাদের
আয় রোজগারের আকাশে।
বছরের অন্যান্য মাস যেমন তেমন রমজান আসলে প্রতিটি মুসলিম পরিবারের ক্ষেত্রে খরচ বাড়ে -তিন থেকে চতুর্গুণ ৩০ টি রোজার একমাস যাবৎ সেহরি ইফতার অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী আয়োজন করতে চরম সংকটে পড়তে হয় সাধারণ মানুষদের। তারপর আবার রয়েছে ৩০ দিনের সিয়াম সাধনার পরে পবিত্র ঈদের পর্ব সে ক্ষেত্র পরিবারের সকল সদস্যদের ন্যূনতম কিছু না হলেও একটি করে পোশাক দিতে গেলেও সারা বছরের কষ্টার্জিত অর্থ ভেঙেও অবশেষে উপরন্ত কাঁধে চেপে বসে ঋণের বোঝা।
আর নিত্যনৈমেত্ব দ্রব্যমূল্যর প্রতিনিয়ত উর্ধ্বগতির কারণে নিম্ন শ্রেণীর মানুষদের ঈদ পার্বণ আসা মানেই পরিবারের কাউকে কিছু না দেওয়ার অপারগতটাই তাদের কাছে যেন হৃদয়বিদারক বিষণ্ণতার এক অভিশাপ।
সবকিছু মিলে ধর্মীয় প্রথা অনুযায়ী রমজান মাস একটি পবিত্র মাস হলেও এই মাসকে লক্ষ্য করে ব্যবসায়ী মহলের ঊর্ধ্বতন সকল পর্যায়ের সিন্ডিকেট কালোবাজারি ব্যবসায়ীরা সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রণের সকল প্রকারের পদক্ষেপের প্রক্রিয়াকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে অসৎ উপায়ে ব্যবসা মুনাফা অর্জনের অন্যতম প্রধান ব্যবসায়ী মৌসুম হিসেবে রমজান মাসকে লক্ষ্য রেখে সারাবছরের খোরাক পুষিয়ে নেওয়ার লালসায় মুখিয়ে থাকে ব্যবসায়ীরা।
এক্ষেত্রে সাধারণ ভোক্তাদের অভিযোগ চাল বাজার সহ সরকারি অভিযান বেশ কিছু পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়ার উদ্যোগ উল্লেখ থাকলেও সবজির মৌসুমে পর্যাপ্ত সরবরাহের ক্ষেত্রে মূল্য স্বাভাবিক পর্যায়ে থাকার প্রত্যাশা করা হয়েছিল আর স্বাভাবিক মূল্যের কারণে বাজারে ফিরবে স্বস্তি।
কিন্তু স্বস্তি মিলছে না ভোক্তাদের মাঝে।
উল্লেখযোগ্য ভাবে বছরের শুরুতে চালের দাম বেড়ে যাওয়াকে অস্বাভাবিক হিসেবে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা হলেও খুচরা বাজারে তার কোন প্রভাব পড়েনি।
উল্টো গত এক সপ্তাহে বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বাজারে দেখা গেছে শীতের সবজি ভরা মৌসুমে ফুলকপি বাঁধাকপি লাউসহ বেশ কয়েকটি সবজির দাম
গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে দ্বিগুণ। পাশাপাশি বেড়েছে ফার্মের মুরগি সহ ডিমের দাম। সারা বছরের হিসেবে সবথেকে সুবিধা জনক অবস্থানে থাকে মৌসুমের এই সময়টা সবজির দামের ক্ষেত্রে।
অথচ এবছর সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র বাজারে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে ভোক্তাদের জোরালো অভিযোগে উঠে এসেছে আসন্ন রমজান মাসকে নিয়ে তারা বলছে রমজান মাস আসতে এখনো প্রায় ৪৫ দিনের মতো বাকি তার আগেই এখন থেকে বাজার উচ্চ ও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সকল ধরনের পণ্য।
অথচ এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত পদক্ষেপ এর কথা বললেও কার্যকর কোন ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না বাজার পর্যায়ে।
এদিকে ব্যবসায়ীরা ঠিকই চলছে তাদের নিজের গতিতে আর এমন অবস্থার মধ্য দিয়ে যদি বাজার অনিয়ন্ত্রিতভাবে ছুটে চলে তাহলে সাধারণ মানুষদের বেঁচে থাকার কোন উপায় থাকবে না।
এ অবস্থায় সরকারের মন্ত্রী পরিষদ সমষ্টিগতভাবে যদি জোরালো ভাবে আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাতেও কোনো অস্থাতেই মানুষের অতি প্রয়োজনীয় নিত্য পণ্যের বাজার স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরবে না বলে সাধারণ মানুষের ধারণা।
কারণ দেশের বড় বড় অবস্থানের ব্যবসায়ীরা সরকারের আমলা তন্ত্রের একানিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গরা তাই আমলা তান্ত্রিক ব্যবসায়ী সংগঠন বিধ্বস্ত করতে না পারলে সরকারের কোন প্রক্রিয়াতেই লাভ হবে বলে আশা করা যায় না।