বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
দেশের একমাত্র আন্দোলন মুখী বিএনপি বাদে গণতন্ত্রের মূলধারাকে প্রাধান্য দিতে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার লক্ষ্যে সারাদেশের সাথে খুলনা জেলার ছয়টি আসনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে জাকের পার্টি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী শাসনতন্ত্র, গণতন্ত্রী পার্টি এবং আরো অন্যান্য দল সহ স্বতন্ত্র প্রার্থীর সাথে তৃণমূল বিএনপি’র মোট ৫৩ জন খুলনা জেলা নির্বাচন রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের নিকট মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সকল প্রার্থীরা নির্বাচনের উৎসব আমেজে মেতে উঠেছে।
মনোনয়নপত্র জমা দানকারী ৫৩ জনের তালিকায় রয়েছে খুলনা -১ আসনে ৬, জন খুলনা -২ আসনে ৯ জন , খুলনা- ৩ আসনে ৫ জন, খুলনা- ৪ আসনে ১৪ জন, খুলনা- ৫ আসনে ৭ জন, এবং খুলনা -৬ আসনে ১২ জন প্রার্থী হয়েছেন।
খুলনা- ১ দাকোপ ও বটিয়াঘাটা নিয়ে আসনটিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৬ জন তারা হলেন নৌকা প্রার্থী ননী গোপাল মন্ডল,জাতীয় পার্টির কাজী হাসানুর রশিদ, জাকের পার্টির মোঃ আজিজুর রহমান, তৃণমূল বিএনপি’র গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক, স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রশান্ত কুমার রায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আবেদ আলী। খুলনা-২ সদর সোনাডাঙ্গা আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৯ জন তারা হলেন আওয়ামী লীগ ও নৌকা প্রার্থী শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল সাবেক এমপি, জাতীয় পার্টির মোঃ গাউসুল আজম, গণতন্ত্রী পার্টির মোঃ মতিয়ার রহমান,বাংলাদেশ কংগ্রেসের দেবদাস সরকার, জাকের পার্টির ফরিদা পারভীন, ইসলামী ঐক্যজট হেদায়েতুল্লাহ, বাংলাদেশ সংস্কৃতি মুক্তিযোট বাবু কুমার রায়,বিএনএম প্রার্থী মোঃ আব্দুল্লাহ আল আমিন, ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী মোঃ সাইদুর রহমান,খুলনা-৩ দৌলতপুর খালিশপুর খানজাহান আলী আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৫ জন।
তারা হলেন নৌকা প্রার্থী এস এম কামাল হোসেন, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী কাইজার আহমেদ, ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাতেমা জামান সাথী,। খুলনা-৪ রূপসা তেরখাদা দিঘলিয়া আসনে ১৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন নৌকা প্রার্থী আব্দুস সালাম মুর্শেদী,জাকের পার্টির শেখ আনসার আলী, জাতীয় পার্টির মোঃ ফরহাদ আহমেদ, (এনপিপি) ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান,তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনিরা সুলতানা, ইসলামী ঐক্য জোটের রিয়াজউদ্দিন খান, বিএনএম প্রার্থী এসএম আজমল হোসেন, স্বতন্ত্রপ্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা এস এম মর্তুজা রশিদী দারা,স্বতন্ত্রপ্রার্থী মোঃ জুয়েল রানা, স্বতন্ত্রপ্রার্থী এম,ডি এহসানুল হক,স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ রেজভী আলম,স্বতন্ত্র প্রার্থী আতিকুর রহমান ও স্বতন্ত্রের প্রার্থী এইচ এম রওশান জামির। খুলনা-৫ ডুমুরিয়া ফুলতলা আসনে ৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।তারা হলেন নৌকা প্রার্থী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ,জাতীয় পার্টির মোঃ শাহীদ আলম,জাকের পার্টির সামাদ শেখ, স্বতন্ত্রপ্রার্থী ফুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আকরাম হোসেন, বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টির শেখ সেলিম আকতার,বাংলাদেশ কংগ্রেসের এস এম এ জলিল ও ইসলামী ঐক্য জোটের তরিকুল ইসলাম। এছাড়া খুলনা-৬ কয়রা পাইকগাছা আসনে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন নৌকা প্রার্থী মোঃ রশিদুজ্জামান,জাতীয় পার্টির মোঃ শফিকুল ইসলাম মধু, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোঃ আবু সুফিয়ান,জাকের পার্টির শেখ মর্তুজা আলম মামুন,বাংলাদেশ কংগ্রেস প্রার্থী মির্জা গোলাম আযম, বিএনএম প্রার্থী এস এম নেওয়াজ মোরশেদ, তৃণমূল বিএনপির গাজী নাসির উদ্দিন খান, স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম রাজু, স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী মোস্তফা কামাল, স্বতন্ত্র প্রার্থী জিএম মাহবুবুল আলম,স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান মোড়ল, সকল প্রার্থীদের বিষয়ে খুলনা জেলা প্রশাসক রিটার্নিং কর্মকর্তা খন্দকার ইয়াসিন আরেফিন জানান মোট ৫৯ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্য জমা দিয়েছেন ৫৩ জন যা ১ ডিসেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর এর মধ্য মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হবে।
এ সময় তিনি আরো বলেন রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করা যাবে ৬ থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আপিল নিষ্পত্তি করা হবে ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। এরপর দিন ১৮ ডিসেম্বর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দর পরই শুরু হবে আনুষ্ঠানিক প্রচার।
আর এই প্রচার চালানো যাবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮ পর্যন্ত।
এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে ৭ জানুয়ারি সকাল ৮ থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হবে।
এ সময় নির্বাচনে অংশ গ্রহণকারী প্রত্যেক প্রার্থী বলেছেন নির্বাচন গণতন্ত্রের মূলধারার একটি অংশ ফলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা ছাড়া কোন রাজনৈতিক দলের অবকাঠামোগত অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা সম্ভাব না।
কারণ নির্বাচন বলতেই হার-জিত আছে আর সেই পরাজয়ের স্বীকার করে নিয়েই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হয়।
এ সময় খুলনা ৩ আসন থেকে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের এক সাক্ষাৎকারে বলেন কোনো দল বা ব্যক্তি অন্তত পাঁচ বছর পর জাতীয় নির্বাচন অংশগ্রহণ না করে তাহলে দেশের জনগণ থেকে তারা ক্রমান্বয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে অসাংবিধানিক দলে পরিণত হয়। ফলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাটা দল গঠনতন্ত্রের মূলধারা বলে আমি মনে করি তাই আমার দল জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের ৩০০ আসনেই আনুষ্ঠানিক ভাবে অংশগ্রহণ করার লক্ষ্যে যোগ্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। তাই আমি আশা করছি দেশে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটারদের উপস্থিতিতে নির্বাচন হলে নিঃসন্দেহে আমি এই আসন থেকে বিপুল ভোটে বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হবো সেই লক্ষ্যে আমার মনোনয়ন পত্র রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর জমা দিয়েছি ।