বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
খুলনা নগরীর অন্যতম ব্যস্ত এলাকা গল্লামারি সংলগ্ন জেলার সর্ববৃহৎ জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান এবং দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে খুলনা শহরে প্রবেশের ক্ষেত্রে অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ মুখ থাকা সত্ত্বেও এলাকার কিছু কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তত্ত্বাবধায়নে তাদের আধিপত্যের দাপটে এবং প্রশাসনের সাথে সখ্যতা করে
জন চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি করে ফুটপাত দখল করে বছরের পর বছর অবৈধভাবে ব্যবসা চালিয়ে গেলেও প্রশাসন রয়েছে নীরব ভূমিকায়। সেক্ষেত্রে নগরীর অধিকাংশ সাধারণ জনগণ জোড়ালো অভিযোগের মাধ্যমে নাগরিক ভাবনাকে জানিয়েছে জনদুর্ভোগের আরেক নাম খুলনা শহরের অন্যতম প্রবেশ মুখ গল্লামারি ফুটপাত। একেতো দীর্ঘদিন যাবৎ ময়ূর নদীর ওপরের অবস্থিত ঝুঁকিপূর্ণ বহু প্রাচীন ব্রিজটি ভেঙে নগর উন্নয়নকল্পে নতুন ব্রিজ তৈরীর কাজের ধীরগতিতে কাজ সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে এপার ওপার যাতায়াত করতে সকল ধরনের যানবাহন ও পথচারী চলাচলের বিঘ্ন ঘটিয়ে নতুন ব্রিজটি জনচলাচলের উপযোগী হওয়ার সাথে সাথে ব্রিজসহ রাস্তার দুই পাস দিয়ে ফুটপাত দখল করে সারিবদ্ধ ভাবে কাঁচা তরকারি থেকে শুরু করে নানান ধরনের দোকানের পসরা সাজিয়ে বসার কারণে সংকীর্ণ হয়েছে গল্লামারি বুড়ো মৌলভীর দরগাহর প্রবেশ মুখ থেকে ব্রিজের ওপার মোহাম্মদনগর মোড় পর্যন্ত। আর এখানকার যানজট যেন নিত্যদিনের দৃশ্য হয়ে পড়েছে অথচ অতি ব্যস্ততম গল্লামারি ফুটপাত ও যানজট নিরসনের জন্য নিয়োজিত ট্রাফিক পুলিশ ও প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ তৎপর থাকা সত্ত্বেও সকল বাধা উপেক্ষা করে ফুটপাত ব্যবসায়ীরা ফুটপাত দখল করে এতটাই বেশি ঘিঞ্জি অবস্থা তৈরি করেছে ফলে সাধারণ মানুষের পায়ে হেঁটে চলাচলের জন্য হয়ে পড়েছে অনুপযোগী। পাশাপাশি ইজিবাইক ও রিকশা ভ্যানের যানজটের উৎপাততো রয়েছেই
তাছাড়া এই এলাকাটি জুড়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা পুরাতন কোনো গল্পনা সবকিছু মিলে জনদুর্ভোগের অন্যতম শিরোনাম এখন গল্লামারি ফুটপাত। এখানকার সাধারণ পথচারীদের অভিযোগ নগরীর বেশ কিছু ফুটপাত নগরপিতা তালুকদার আব্দুল খালেক এর একক তৎপরতায় উচ্ছেদ করে দখলমুক্ত করতে সক্ষম হলেও উচ্ছেদ হচ্ছেনা গল্লামারি ফুটপাত যার ফলে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে নগরবাসীর।
অথচ এখানকর প্রশাসনিক ডিউটিরত কর্তাদের দিকে আঙ্গুল তুলে অভিযোগ করে নগরবাসী আরো বলেছে চোখ কান খোলা রেখে ডিউটি করলেও প্রতিকার স্বরূপ কোন কিছুই পরিলক্ষিত হচ্ছে না বরং এদের সহযোগিতা ও এলাকার প্রভাবশালী কতিপয় কিছু রাজনৈতিক নেতাদের মদতে আস্কারা পেয়ে ক্ষমতা ও দাপটের সাথে দখল করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ফুটপাত ব্যবসায়ীরা।
এখানকার একজন স্থানীয় ব্যবসায়ী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন গল্লামারি সড়কটির এপার ওপার দুই পাস খুলনা সদর থানা ও গল্লামারি মডেল থানায় বিভক্ত হওয়াতে প্রশাসন উদরের পিন্ডি বুধরের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে ফুটপাত ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসোয়ারা নিয়ে একেবারে প্রাতঃ সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত যানবাহন ও সাধারণ পথচারীদের চলাচলের বিঘ্ন ঘটিয়ে অবৈধ ফুটপাত দখলকারী ব্যবসায়ীদের সুযোগ করে দিচ্ছে ব্যবসা করার। অথচ গল্লামারি ব্রিজ পার হলেই হয়ে কয়েকশো গজের মাথায় খুলনার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আরএ স্থান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সর্বদাই বিভিন্ন কাজের জন্য থাকে পদচারণা আর এখানে ফুটপাতের ঘিঞ্জিরূপ নেওয়ার কারণে অসংখ্যবার দুর্ঘটনায় কবলে পরে শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়েছে পথচারীদের। তবে এই এলাকাটি নিয়ে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ইলেকট্রিক মিডিয়ায় প্রতিবেদন তৈরি হলেও দুই থানার প্রশাসন কর্মকর্তাদের টনক নড়েনি ফলে উচ্ছেদ হয়নি গল্লামারি ফুটপাতের সড়ক দখলকৃত অবৈধ দোকান। আর সকল ফুটপাত ব্যবসায়ীদের কবলে যেমন সৃষ্টি হচ্ছে যানজট তেমন ময়লার ভাগাড়ের কারণে পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে যেমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর তেমন শ্রীবৃদ্ধি নষ্ট হচ্ছে নদীটির অথচ নগরের ময়লাপোতা থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত পড়লেন বিশিষ্ট সড়ক তৈরি করলে ওই জঞ্জোটের হাত থেকে নিরসন পাচ্ছে না নগরবাসী সাথে প্রশাসন নিচ্ছে না প্রতিকার স্বরূপ কোন সুষ্ঠু বন্দোবস্ত ফলে প্রশাসনসহ খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন সকল কর্তাদের দিকে রয়েছে নগরবাসীর বিক্ষিপ্ত অভিযোগ।