বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
খুলনা বেনাপোল রুটের কমিউটার ট্রেনটি ভারতে গমন নির্গমনের উদ্দেশ্যে যাত্রী চলাচলের স্বার্থে বাংলাদেশ সরকারের রেলমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চালু করা হলেও ট্রেনটি এখন চোরাকারবারী মাদক পাচার চক্রদের অভয়ারণ্য যোগাযোগ মাধ্যমে পরিণত হয়েছে।
সাথে টিটিদের টিকিট দুর্নীতির বিরুদ্ধে রয়েছে জোরালো অভিযোগ অভিযোগের প্রমাণ সাপেক্ষে দেখা গেছে টিকিট বিহীন যে সকল যাত্রীরা ট্রেনে আহরণ করছে তাদের নিকট থেকে অনেক ক্ষেত্রে জরিমানা সহ ভাড়া আদায় করে তাদের কোন টিকিট বা ডকুমেন্ট না দিয়ে জিআরপি পুলিশদের সহযোগিতায় প্লাটফর্ম অনায়াসে পার করে দিচ্ছে আর এতে করে তাদের পকেট ভারী হলেও রেল মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব খাতে প্রতি মাসেই গুনতে হচ্ছে লোকশান। আর এই টিকিট দুর্নীতির সাথে প্রকাশ্যজড়িত রয়েছে টিটি জিআরপি পুলিশ প্লাটফর্মে ডিউটিরত রেল কর্মকর্তা সহ আরো অনেকে।
টিকিট বিহীন যাত্রীদের কাছ থেকে পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগের পাশাপাশি রয়েছে ভারতীয় অবৈধ মালামাল বহনকারী ব্ল্যাকারদের সুবিধা করে দিতে তাদের কাছ থেকে আদায় করছে চতুর্গুণ ভারা। পাশাপাশি প্রশাসনের নিবিড় সখ্যতার যোগসাজে রয়েছে প্রশাসনের বর্ডারের অতন্দ্র প্রহরী বিজিবি ও পুলিশের বেশ কিছু অসৎকর্তাসহ এমনকি রেলের চালক প্রজন্ত।
আর এদের কারণে চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে ভারত বাংলা উভয় দেশের পাসপোর্ট ধারি যাত্রীদের।
এক্ষেত্রে যাত্রীদের বসার ছিট থেকে শুরু করে মাল রাখার বাঙ্কার এমনকি টয়লেট পর্যন্ত দখল করে বসে থাকে ব্লাকার সিন্ডিকেট বাহিনীর চুরাকারবারিরা।
এদের দাপটে অসহায় সাধারণ যাত্রীরা একেবারেই নিরুপায় ।
এমন অভিযোগ করে বলেছে ভারত থেকে আগত বেশ কিছু পাসপোর্ট ধারী যাত্রীরা তারা অভিযোগ করে বলেছেন রীতিমতন বৈধ পথে পাসপোর্ট এর মাধ্যমে ভারত থেকে এসে টিকিট কেটে ট্রেনটিতে উঠে তিল পরিমাণের জায়গা খুঁজে পাইনি একটু দাঁড়িয়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য চোরাকারবারী সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের অত্যাচারের কারণে
নিরুপায় হয়ে সব অত্যাচার সহ্য করতে হয় কারণ এদের সঙ্গে সখ্যতা ও সহযোগিতায় রয়েছে প্রশাসনের পোষাকধারী কর্তারা ।
এদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেলে উপায় থাকে না যাত্রীদের।
উপরন্ত প্রশাসনের কর্তারাই অবৈধ চোরা কারবারি ব্লাকারদের পক্ষ হয়ে অশোভনীয় আচরণ করে বৈধ পাসপোর্টধারী যাত্রীদের সাথে।
এমন কি অযৌক্তিক ভাবে যাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশির মাধ্যমে হেনস্থা করতে একটুও দ্বিধাবোধ করে না।
অথচ পাস্পোর্টধারী যাত্রীরা বর্ডার পার হওয়ার সময় ইমিগ্রেশন থেকে স্ক্যানিং মেশিন ও কাস্টম কর্তৃক পরিপূর্ণভাবে চেকিং হওয়ার পরে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়।
তা সত্ত্বেও চোরা কারবারীদের সহযোগিতা করার জন্য তাদের অপকর্মের সকল কিছুর অন্তরালে ঢেকে রাখার কৌশলগত কারণে সাধারণ যাত্রীদের ল্যাগেজ তল্লাশি করে লোক দেখানো অভিযান অব্যাহত রাখে।
ফলে ভারতীয় বিভিন্ন ধরনের পণ্যের সাথে অনায়াসে পাচার হচ্ছে বিষাক্ত ক্ষতিকারক যুবসমাজকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেওয়া অসংখ্য ধরনের ভারতীয় নেশার দ্রব্য। অভিযোগে আরো উল্লেখ রয়েছে যে এ সকল বিষয়গুলো তুলে ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমের পত্র-পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার হওয়ার পর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নজরে পড়ায় তাদের টনক নড়ার কারণে একটু নড়েচড়ে বসে উপর মহলের তাৎক্ষণিক চাপের মুখে প্রশাসনিক উচ্চপদস্থ কর্তাদের অভিযানে কিছু মাদকদ্রব্য সহ অবৈধ চোরাকারবারীদের আটক করা হলেও সেটা থাকে সাময়িক সময়ের জন্য।
আর এ সকল চোরাকারীরা ভারত থেকে বেনাপোল এলাকার বেশ কিছু সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কোটি কোটি টাকার মালামাল স্বর্ণের বার দামি পোশাক শাড়ি কম্বল নানান ধরনের কসমেটিকস সহ অনেক ধরনের পণ্য এমনকি সরকার নিষিদ্ধ বিভিন্ন ধরনের ঔষধ ঢুকছে চোরাকারবারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশ। আর এই ট্রেনটিতে করে প্রশাসনের সহযোগিতায় যশোর, নওয়াপাড়া, খুলনায় পৌঁছানোর পর ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
তাছাড়া এমনও অভিযোগের সত্যতা মিলেছে চোরাকারবারি ব্ল্যাকারদের সুবিধার্থে ট্রেনের ড্রাইভার যে সকল এলাকায় অবৈধ পথে আসা ভারতীয় পণ্য ও মাদকদ্রব্য হাত বদল হয় ঠিক সেই সকল স্থানে এসে ট্রেনের গতি কুমিয়ে অবৈধ মালামাল গাড়ি থেকে নামানোর ক্ষেত্রে কৌশলগত সহযোগিতায় অন্যরকম ভূমিকা পালন করছে ট্রেন চালক।