বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
খুলনা -২ আসনে নৌকার পালে হাওয়া লাগলেও চার ও পাঁচের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা শক্ত অবস্থানে ফলে এখন পর্যন্ত দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে দুই নৌকার মাঝি।
উল্লেখ্য খুলনা জেলার নির্বাচনী ৬ টি আসনের মধ্য অন্যতম খুলনা সদর ২ আসন যেখানে নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে নির্বাচন ভোটযুদ্ধে লড়াই করছেন বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল সাবেক এমপি।
এ আসনে মোট ৩১০ টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে পাশাপাশি ভোটার সংখ্যা রয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার ২২০ জন। এরমধ্যো পুরুষ ভোটার রয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৭০ জন, এবং নারী ভোটার রয়েছে এক লাখ ৬০ হাজার ৯৪২ জন, সাথে হিজড়া ভোটারের সংখ্যা মাত্র ৮ জন।
এ আসনে ও পুরুষের তুলনায় নারী ভোটার সংখ্যা বেশি।
উল্লেখিত খুলনা ২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তালিকা রয়েছে মোট ৬ জন।
আর এই আসনে দলীয় স্বতন্ত্র সব মিলে ছয় জনপ্রার্থী নির্বাচনের মাঠে থাকলেও আলোচনার কেন্দ্রস্থলে রয়েছে শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল নৌকার প্রার্থী। নৌকা বাদে অন্য ৫ প্রার্থী পোস্টারে লিফলেটে থাকলেও শুরু থেকে ছিল না তাদের জোর প্রচার প্রচারণা এমনকি এই পাঁচ প্রার্থীদের ভোটাররা অনেকেই চিনেনা। এক্ষেত্রে খুলনা – ২ আসনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত বললে ভুল হবে না। এ আসন থেকে ভোট যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রার্থী নিয়ে শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, দেবদাস সরকার যিনি বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে ডাব প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন,
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে গাউসুল আজম দলীয় প্রতীক নাঙ্গল নিয়ে নির্বাচন মাঠে রয়েছেন, সাংস্কৃতিক দল মুক্তি জোটের প্রার্থী বাবু কুমার রায় ছড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছে, আব্দুল্লাহ আল আমিন জাতীয়তাবাদী (বিএনএম) দলের প্রার্থী হিসেবে তার দলীয় প্রতীক নোঙ্গর নিয়ে ভোট ব্যালটে রয়েছে,
এদিকে একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুর রহমান তার ঈগল প্রতীক নিয়ে ছুটে চলেছে।
এ লক্ষে নগরীর বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র গুলি সকাল থেকে সরোজমিনে গিয়ে ঘুরে দেখা গেছে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল নজরে পড়ার মতন যদিও সকালে প্রথমার্ধে ভোটারদের সংখ্যা একটু কম ছিল বেলা বাড়ার সাথে সাথে অনেকাংশে ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।
পাশাপাশি খুলনার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন ও পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক সকল ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট প্রদান করতে পারে যাতে সে লক্ষ্যে সর্বমহলের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার চাদরের বেষ্টনিতে ঘিরে রেখেছে গোটা নির্বাচনী এলাকা।
ভোট কেন্দ্র গুলোর মধ্যে রয়েছে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী, আনসার, ডিবি, র্যাব। এদিকে শহর জুড়ে টহলরত অবস্থায় রয়েছে বিজিবি, সেনাবাহিনী সহ কঠোর নজরদারিতে রেখেছে গোয়েন্দা বিভাগ।
এদিকে গত বেশ কয়েকদিন যাবৎ খুলনা -২ আসনের পাশাপাশি দুইটি নির্বাচনী এলাকা খুলনা-৪ ও খুলনা -৫ আসন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী দের মধ্য চলছিল পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও সাংবাদ সম্মেলন।
তবে ওইসব এলাকা দুটির পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী অসংগতি বা সাংঘর্ষিক অপ্রিতিকর কোনো ঘটনা এখন পর্যন্ত ঘটেনি।
তবে আশঙ্কা করা যাচ্ছে খুলনা -৫ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য এবং সাবেক মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দর নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থেকে ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান এই দুজনের মধ্য হাড্ডা হাড্ডি ভোট যুদ্ধ হলেও ব্যক্তি ইমেজে নিরঙ্কুশ হিসেবে নিরব ভোট বিপ্লবে সাবেক এমপির গলায় হয়তুবা জয়ের মালা উঠবে।
অপরদিকে খুলনা -৪ আসন রুপসা দীঘলিয়া তেরখাদা বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে সাবেক এমপি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সালাম মুর্শিদি নৌকার টিকিট পেলেও এখানে আলোচনা ও সর্ব বিষয়ে ভোটারদের মৌন সমর্থন নিয়ে শক্ত অবস্থানে থেকে দাপটের সাথে এগিয়ে যাচ্ছে প্রয়াত রাজনীতিবিদ সাবেক সংসদের হুইপ এস এম মোস্তফার রশিদি সুজার ছোট ভাই এস এম মোস্তফা রশিদী দারা। এখানকার সব কয়টি ভোট কেন্দ্র প্রদক্ষিণ শেষে ভোটারদের চাপা গুঞ্জন ও নানান তথ্য মতে কিছুটা হলেও কেটলি প্রতীকের জয় নিশ্চিতের আভাস পাওয়া গেছে।