এম, মাসুদ রানা সুমন
নাটোরের গুরুদাসপুরে ধর্ষণের শিকার হয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত জাহিদুল খাঁকে (৬০) গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৫)।
শনিবার (২৬ আগস্ট) সকালে র্যাব-৫ এর অধিনায়ক এক প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
এর আগে, শুক্রবার (২৫ আগস্ট) দিনগত রাতে ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা থান হেলেঞ্চা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার জাহিদুল খাঁ গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের দক্ষিণ নাড়িবাড়ি গ্রামের কালু খাঁর ছেলে।
র্যাব-৫ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের যৌথ বিশেষ অপারেশন দল ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা থানার হেলেঞ্চা এলাকায় এক অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত আসামি জাহিদ খাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে নাটোর জেলার গুরুদাসপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শ্রাবণী রায় বলেন, শিশুটিসহ ভুক্তভোগী পরিবার আমার কাছে আসেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অন্তঃসত্ত্বা শিশুটির দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে। অপ্রাপ্ত বয়সে মা হতে গিয়ে নানা আশঙ্কার হতে পারে। সে কথা চিন্তা করে সরকারিভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশুটির প্রসব করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিশুকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
উল্লেখ্য, সংসারে পারিবারিক কলহের কারণে শিশুটির বাবা-মার সংসার ভেঙে যায়। পরবর্তীতে বাবা ও মা অন্যত্র বিয়ে করে। এরপর থেকে শিশুটি তার চাচা-চাচির কাছে থাকতো। এলাকার এক দুসম্পর্কের দাদা জাহিদুল খাঁ মাঝে মধ্য শিশুটিকে নিয়ে তার ভ্যানে বেড়াতে যেত। পরে ৭ মাস পর শিশুটির শারীরিক পরিবর্তন দেখে পরিবারের মানুষ জিজ্ঞেস করলে কোনো উত্তর দেয়নি শিশুটি। তবে প্রসব পরীক্ষার পর প্রাথমিকভাবে গর্ভে সন্তান থাকার কথা জানতে পারে পরিবার। পরবর্তীতে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করার মাধ্যমে চিকিৎসক অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানান। পরে শিশুটি এ ঘটনা তার পরিবারকে বলে। পরে গত ১৮ জুন শিশুটির দাদি বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।