আব্দুল্লাহ আল মামুন পিন্টু,টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার কথা বলে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
বুধবার (৯ আগস্ট) ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সজল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ইউপি সদস্য শহীদুল ও তার সহযোগী কাজলের বিরুদ্ধে ঘাটাইল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম উপজেলার লোকেরপাড়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
ভুক্তভোগীর মা জানান, আমার মেয়ের চাকরির জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র প্রয়োজন। পরে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির জন্য আমার মেয়ে ইউপি সদস্য শহিদুলের সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদে যায়। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদ বন্ধ থাকায় শহিদুল আমার মেয়েকে মিথ্যা কথা বলে, তার এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগী জানান, শহিদুল মেম্বারের সঙ্গে আমি আমার জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখি, ইউনিয়ন পরিষদ তালা বদ্ধ। পরে শহিদুল মেম্বার আমাকে বলে তার বন্ধু জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির কাজ করে। এ সময় আমাকে নিয়ে সেই বাড়িতে যায়। এ সময় ঘরের ভেতর প্রবেশ করার পর সে দরজা বন্ধ করে দেয় এবং আমাকে ধর্ষণ করে। পরে আমাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেয়। আমি একজন অসহায় মেয়ে। আমার পরিবারে মা ছাড়া আর কেউ নেই। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
টাঙ্গাইলে কিশোরী ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য শহিদুলের মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ঘাটাইল অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সজল খান জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী মামলা দায়ের করেছেন। ইতোমধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।