বিপ্লব সাহা খুলনা ব্যুরো:
চট্টগ্রামে দুর্গাপূজোর অনুষ্ঠানের মঞ্চে ইসলামী গজল পরিবেশন করায় ক্ষোভে উত্তালে সারা দেশের হিন্দু সম্প্রদায় সাথে সুশীল সমাজে চলছে তুমুল নিন্দার ঝড় ।
একই সাথে সনাতনী সম্প্রদায়ের মানুষেরা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছে গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকার পতনের মধ্যে দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সারা দেশব্যাপী হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের ওপর জুলুম অত্যাচার দখলদারী চাঁদাবাজি লুটপাট চললেও তার মধ্য চট্টগ্রাম এলাকা জুড়ে চলমান সহিংস উশৃংখল উস্কানিমূলক হিংসাত্মক ঘটনা নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের সাথে থেমে থেমে তুমুল বিক্ষোভের ঘটনা ঘটছে যা সারা দেশ প্রত্যক্ষ করছে।
তার মধ্য আবার ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগরের অন্যতম একটি ঐতিহ্যবাহী মন্দিরে শারদীয় দুর্গা উৎসব চলাকালীন সময়ে একদল মুসলিম সম্প্রদায়ের যুবকেরা মন্দির পরিদর্শন করার নামে এসে হঠাৎ মন্দিরের প্যান্ডেলে উঠে ইসলামিক গজল সংগীত পরিবেশন শুরু করে আর তা নিয়ে সমগ্র দেশ জুড়ে উঠেছে তুমুল সমালোচনার ঝড়।
এ ঘটনা নিয়ে দেশের সকল হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ তথা দেশের সুশীল সমাজের মধ্যেও চলছে জল্পনা কল্পনা। অভিযুক্তদের অভিযোগে এর দায়ভার অনেকটাই জামাত ইসলাম ও ছাত্রশিবিরের কর্মীদের ওপর বর্তাচ্ছে বলে একাধিক সূত্র থেকে অভিযোগ উঠেছে। সূত্র থেকে আরও জানা গেছে গত ১০ অক্টোবর সন্ধ্যায় নগর চট্টগ্রামের শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আয়োজিত সংগীতানুষ্ঠানের শুরুতে জামায়াত ইসলামের একদল যুবক ইসলামী গজল শুরু করলে সেখানকার উপস্থিত হিন্দু সম্প্রদায়ের দর্শনার্থী ও পূজা উদযাপন কমিটির কর্মকর্তারা হতভম্ব হয়। এবং তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত সকল হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষরা বিক্ষোভ উত্তালে উত্তপ্ত হয়ে উপস্থিত ইলেকট্রনিক মিডিয়া কর্মীদের সামনে গিয়ে সকল বিষয়ের তথ্য তুলে ধরে প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে এটা আমাদের হিন্দু ধর্মীয় মানুষদের সনাতনীদের বছরের সর্ববৃহৎ শারদীয় দুর্গোৎসব এখানে তারা এসে কেন ইসলামিক গজল গান পরিবেশন করবে। এতে আমাদের ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাত হেনেছে। মুসলিমরা কি ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলের মঞ্চে আমাদের শ্রীমৎ ভাগবত গীতা পাঠ করতে দিবে কখনো তারা দিবে না। এমনকি তাদের স্টেজে কোন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের অতিথি করে মঞ্চে উঠতে দিবে না। সে ক্ষেত্রে তারা কেন এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কাজ করবে আমাদের ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাত হানবে আমাদের এখানে এসে অসাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ডের মধ্যে সম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাবে। এটাতো আমাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান আমাদের ধর্মীয় গান-বাজনা এবং সংগীত পরিবেশন হবে।
এখানে কেন ইসলামী গজল গান হবে সেটা নিয়ে এখন আমাদের প্রশ্ন দেশের প্রধান উপদেষ্টার কাছে।
এ সময় চট্টগ্রাম নগরীর বেশ কিছু পূজা উদযাপন কমিটির আয়োজকরা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ গড়ে তুলে তীব্র প্রতিবাদ করে বলেছে আপনারা উপরে উপরে হিন্দু রক্ষার স্লোগান দিয়ে অন্তরালে থেকে আমাদের ক্ষতি করবেন এটা কিছুতে মাথা পেতে নিব না প্রয়োজনে এর প্রতিবাদে সারা দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা হিন্দু গণজাগরণের ছত্রছায়ায় এসে তুমুল আন্দোলন করে এর প্রতিবাদ জানানো হবে। তাছাড়া অনতিবিলম্বে সরকার যদি এদেরকে গ্রেফতার ও সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা না করে তাহলে হিন্দু সম্প্রদায়ের কোন একটি মানুষ প্রতিবাদ না করে ঘরে বসে থাকবে না। এক্ষেত্রে আবার কেউ কেউ বলছে এই ঘটনা পূর্বপরিকল্পিতভাবেই ঘটিয়েছে যাতে করে এখানে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি হয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। নাশকতা সৃষ্টি হয়। এখান থেকে ফায়দা লুটতে পারে হিন্দু মেয়েদের শরীরের গহনা থাকে সেগুলো লুটপাটসহ অসম্মানজনক ঘটনা ঘটিয়ে স্বার্থ চরিতার্থ করতে পারে এটাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য।
এ ঘটনার সাথে ইন্দোনদাতা ও জড়িতদের বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণার সাথে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রতিবাদ জানাচ্ছি দেশের সাম্প্রদায়িক মানসিকতার মানুষদের বিরুদ্ধে। অপরদিকে বিক্ষোভের একপর্যায়ে ঘটনার সাথে জড়িত দুইজনকে আটক করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে চট্টগ্রাম পুলিশ।