মশিউর মিলন, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলে চাঁদার টাকা না পেয়ে একটি হার্ডওয়্যার ও মেশিনারিস বিক্রয় প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে টাকা লুট ও ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান পুত্র ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ওমর ফারুক সৌমিকের বিরুদ্ধে। রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ধানদি বাজারে ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যবসায়ীকে মারধর করা হয়। আহত ব্যবসায়ী ফিরোজ মাতব্বরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ফিরোজ জানান, তিনি পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের সমর্থক। ছাত্রলীগ নেতা সৌমিক স্থানীয় এমপি আসম ফিরোজের কর্মী। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তিনি আওয়ামী লীগের এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের পক্ষে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহের মিছিলে অংশ নেন। কিন্তু নির্বাচনে আসম ফিরোজ দলীয় মনোনয়ন পান এবং এমপি নির্বাচিত হন। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ছাত্রলীগ নেতা সৌমিকের মামা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম আকন ব্যবসায়ী ফিরোজের কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। সেই টাকা না দিলে হুমকির মুখে ১ মাস ফিরোজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। সাতদিন আগে ফিরোজ দোকান খুলে ব্যবসা শুরু করেন। এরপরেই আজ রাতে সৌমিকের নেতৃত্বে ৭/৮ জন দুর্বৃত্ব ফিরোজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালায় এবং তাকে মারধর করে।
এ ঘটনায় বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা ওমর ফারুক সৌমিক বলেন, আমি ছাত্রলীগের পদ প্রত্যাশী। তাই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ দেয়া হচ্ছে। জসিম আকনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ সত্য নয়। তবে ফিরোজ গত ইউপি নির্বাচনের পড়ে নৌকার অনেক কর্মী সমর্থকের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনীত কুমার গায়েন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা স্থলে এবং হাসপালাতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।