মোঃ মোখলেছুর রহমান মনির চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভোলাহাট উপজেলায় ছোট জামবাড়ীয়া খাপানির বিল নামক স্থানে কালি নগর গ্রামের রুপা বেগমের স্বর্নের কানের ও নগদ বিশ হাজার টাকা ডাকাতি করলে ভুক্তভোগী চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে। ডাকাতি করে ডাকাত দলের সদস্যরা ফাঁকা ধানক্ষেতের দিকে দৌড়ে পালাতে থাকে। গ্রামবাসির টচ-লাইট দিয়ে ডাকাতদের খোঁজাখুজি করলে। ডাকাত দলের দুই সদস্য আম বাগানের এক গাছের উপর আত্মগোপন করেন কিন্তু শরীর ও পোশাক ভিজে থাকায় গাছের নিচে গ্রামবাসীর কোন এক ব্যক্তির উপরে বৃষ্টির মত পানি পড়তে থাকে পরবর্তীতে গাছের দিকে টচ-লাইট মারলে দেখে যে দুইজন ডাকাত সদস্য গাছের উপরে বসে আছেন । গ্রামবাসী তাদের নিচে নামিয়ে গণপিটুনি শুরু করেন গণপিটুনির একপর্যায়ে ডাকাত দলের দুই জন আপন দুই ভাই মারা যান। মেজ ভাই আলমগীর হোসেন তার স্ত্রীসহ দুই বাচ্চা সন্তান জনক ও ছোট ভাই মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী স্ত্রীসহ দুধের বাচ্চা দেড় বছরের জনক ছিলেন অভাবে তাড়নায় ডাকাত দলের সদস্য হিসাবে ডাকাতি করতেন। পূর্বেও তার নামে বিভিন্ন ডাকাতি মামলা রয়েছে।
৩নং জামবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়্যারমান মোঃ আফাজ উদ্দিন বলেন যে
গ্রামবাসীর সন্ধ্যা হলেই আতঙ্কে থাকে। কোন অসুস্থ বা গর্ভবতী
রোগীকে নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়ার সময় অনেক ভয়ে থাকেন যে তাদের সাথে থাকা মোবাইল ফোন,অটো ভ্যান,মোটরসাইকেল সহ টাকা-পয়সা সবাই কিছুই ডাকাতি হয়ে যাই। এজন্য এই সরকারের কাছে তাদের চাওয়া যে সকল স্থানে ডাকাতি হওয়ার সম্ভাবণা, সে সকল স্থানে বিট পুলিশ ক্যাম্প বসানোর মাধ্যমে রাতে টহল জোরদার করতে হবে।
এতে ডাকাত নির্মুল করা যাবে।
নিহত ডাকাত সদস্যদের পরিবারের পক্ষে তার মা জানান যে তার দুই ছেলেকে যারা হত্যা করেছে তাদের আইনি হত্যা মামলার মাধ্যমে শাস্তি দাবি করেন।
ডাকাতি স্থান পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ নুরুজ্জামান ও মোঃ শাহিন,অফিসার ইনচার্জ, ভোলাহাট এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ গোয়েন্দা সংস্থা অফিসারগন। পরিদর্শন শেষে মোঃ শাহিন,অফিসার ইনচার্জ, ভোলাহাট জানান যে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।