বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
চীনে সাম্প্রতিক একটি নতুন ভাইরাস এইচএমপিভি মেটানিউমোভাইরাস নামক সংক্রমন ব্যাধি ছড়িয়ে পড়েছে আক্রান্ত হয়েছে বিভিন্ন প্রদেশের হাজার হাজার মানুষ। সাথে বাংলাদেশের চিকিৎসকরাও শংকিত।বর্তমান এই সংক্রমণ ব্যাধির ধরন শ্বাসনালী ফুসফুস আক্রমণের সাথে সর্দি জ্বর কাশি যা কোভিড ১৯ এর থেকেও অধিক শক্তিশালী এবং এই রোগে ১৪ বছরের নিচের শিশুদের বেশি আক্রমণ করার কথা ও জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞ কর্তাগণ। পাশাপাশি চীনের একজন স্বাস্থ্য বিভাগের বক্ষব্যাধি বিষয়ক চিকিৎসক কান বিয়াও দেশের সাধারণ মানুষদের সতর্ক করার লক্ষ্যে বলেছেন রোগ যত বড় ভয়াবহ হোক না কেন সাধারণত সবাই যদি সতর্ক অবস্থানে থাকি স্বাস্থ্যসহ বিষয়ক নির্দেশনা মেনে চলি তাহলে সবকিছু থেকে নিজেদের পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। অপরদিকে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডাঃ মনজুরুল মোর্শেদের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করলে তিনি বলেন রক্তের বিষয়ে দুই-তিন দিন যাবত আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যমের বড় সূত্রে জানতে পেরেছি তবে আমাদের দেশে এই রোগের ধরন প্রকাশ পায়নি এমনকি কোনো রোগীর মাঝে এ ধরনের কোন সিমটম পরিলক্ষিত হয়নি,তবে ডিসেম্বর জানুয়ারি মাসে ঠান্ডার প্রকোপ বেশি থাকার কারণে ঠান্ডা জনিত রোগ যেমন নিউমোনিয়া, সর্দি, জ্বর, কাশি রোগ শিশু থেকে মধ্যবয়সী ব্যক্তিদের মধ্য বেশি দেখা যায় বয়স্ক ব্যক্তিরাও যে একেবারে বিপদ মুক্ত তাও বলা যাবে না তবে এটাও করোনার মতো সংক্রমণ ব্যাধি চীনের আক্রান্ত ব্যক্তিদের দিকে তাকালে বোঝা যাচ্ছে এই সংক্রমণ ব্যাধি টা করো না ভাইরাসের মতো দ্রুত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যেতে পারে তার আগে সকল দেশের সরকার প্রধানকে স্বাস্থ্য বিষয়ক সতর্ক অবস্থানে থেকে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে পারলে বহিরাগত দেশের মানুষদের থেকে অভ্যন্তরীণ কাউকেই আক্রমণ করতে পারবে না তবে স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষদের ও সতর্ক থাকতে হবে।
অপরদিকে চীনের কয়েকটি প্রদেশের বেশ কয়েকজন স্বাস্থ বিশেষজ্ঞরা আরো জানিয়েছেন হঠাৎ করে রোগটি প্রকাশ পেয়েছে ফলে কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই সংক্রমণ এই রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে যার কারণে দেশের চিকিৎসকরা রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তিনি রোগটির বিষয়ে আরো স্পষ্ট করেছেন ইতোমধ্য চীনের হিউম্যান (এইচএমপিভি) আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা নিতে ভিড় করেছেন হাসপাতালে কোভিড মহামারির মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যেই নতুন এক ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে চীনে। হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) নামে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই শ্বাসনালিজনিত সমস্যায় ভুগছেন। সম্প্রতি গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বেশকিছু প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। জানা গেছে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চাপে হাসপাতালগুলো হিমশিম খাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ভিডিওতে দেখা যায়, হাসপাতালগুলোর মেঝেতেও বিছানা পেতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে দেশটিতে আবারও জরুরি অবস্থা জারি করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চিকিৎসকদের মতে, এইচএমপিভি ভাইরাস অনেকটা কোভিড-১৯-এর মতোই। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) নিউমোনিয়াসহ বেশ কিছু রোগের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে কার্যক্রম ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে কোভিড-১৯-এর মতো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন তারা। এদিকে চীনের ন্যাশনাল ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এই ভাইরাসটির পরীক্ষাগার তৈরি করছে বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম সিসি ক্যামেরা। গত ১৬ থেকে ২২ ডিসেম্বর দেশটিতে শ্বাসনালিজনিত অসুখ বেড়েছে। দেশটির উত্তরাঞ্চলের প্রদেশগুলোর ১৪ বছরের চেয়ে ছোট শিশুরা এই ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। শীত ও বসন্তে এই সমস্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক কান বিয়াও। নতুন এই ভাইরাসের চিকিৎসায় নির্বিচারে ওষুধ সেবন করার বিপক্ষে এই চিকিৎসক।
