চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু, চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার সামনেসহ শহরের প্রাণ কেন্দ্রে দিনের আলোয় ৮টি দোকানে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এতে অন্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে চুরি আতঙ্ক বেড়েছে। পুলিশের দাবি, চুরির ঘটনায় এখনো মামলা দায়ের করেনি ভুক্তভোগীরা। তবে পুলিশি তদন্ত চলছে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে পৌঁনে ৯টা পযর্ন্ত একই সময়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র সদর থানার গেটের সামনেসহ ফাতেমা প্লাজা, গলির মার্কেট ও মুন্সি সুপার মার্কেটে চুরির ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষাধিক নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি গেছে বলে দাবি করেন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ কৌশলে চোর দোকানগুলোর তালা ভেঙে সার্টার বাঁকা করে ভিতরে ঢোকে। মার্কেটের সিসিটিভি ক্যামেরায় চুরির দৃশ্য ধরা পড়েছে।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দিনের বেলায় শহরের প্রাণকেন্দ্রে সদর থানার একেবারেই সামনেসহ আসেপাশের এলাকায় একসাথে একযোগে কয়েকটি মার্কেট টার্গেট করে চুরির ঘটনা ভাবিয়ে তুলছে তাদের। পুলিশের নাকের ডগায় এমন দুঃসাহসিক কাজে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত তারা। বিশেষ করে শহরের প্রাণকেন্দ্রের মতো জায়গায়, আবার সদর থানার সামনে এই চুরি স্বাভাবিক নয়।
এদিকে, এমন দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ না হলেও পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করছে। ব্যবসায়ীরা বলছে পুলিশের তদন্ত গতি ও শহরের একাধিক স্থানে একসাথে এই চুরি হওয়ায় তারা অভিযোগ করেননি।
মুন্সি মার্কেটের ইরানী টেইলার্সের মালিক আতিয়ার রহমান বলেন, পুলিশ এসেছিলো। ওনারাই তো দেখলাম সবকিছু করছে। পুলিশ যেমন তৎপর আমরা অভিযোগ দেওয়ার প্রয়োজনীতা অনুভব করিনি। ওনারা যেভাবে খোঁজখবর নিলেন, আমরা মনে করছি ওনারা সেভাবেই কাজ করবেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় কেউ এজাহার দায়ের করেনি। এজাহার দিলে মামলা হবে। এখনো পুলিশি তদন্ত ও অভিযান চলছে। দ্রুতই প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।