মিলন হোসেন, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি –
বগুড়া সদর উপজেলার শাখারিয়া ইউনিয়নের গোপলা বাড়ি পশ্চিম পাড়ার মোঃ মামুন মিয়া পুত্র মাহিন (৩) জন্ম থেকেই তার হার্টে ছিদ্র ধরা পড়ে।
এ পর্যন্ত মাহিনের অসহায় গরীব পিতা ১২ থেকে ১৩ লক্ষ টাকা খরচ করেছে। কিন্তু বর্তমানে এখন সে খরচ চালাতে হিমশিম খাইতেছে । অসহায় মামুন এ পর্যন্ত সে ধার দেনা করে তার সন্তানকে সুস্থ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছে এবং এখন পর্যন্ত করিয়ে যাচ্ছে অসহায় এবং দরিদ্র পিতা।
এ বিষয়ে মাহিনের পিতা মামুন মিয়া দেশ চ্যানেলের প্রতিবেদককে বলেন,
” আমার ছেলের জন্মগত থেকে হার্টের ছিদ্র ধরা পড়ে। তারপর আমি বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা করিয়েছি। এ পর্যন্ত ১২ থেকে ১৩ লক্ষ টাকা আমার খরচ হয়েছে। কিন্তু এখন বর্তমানে আমি আমার সন্তানকে ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা করাইতেছি। তারা আমাকে বলেছে আগামী তিন মাসের মধ্যে যদি আমার এই সন্তানের অপারেশন না করেন তাহলে সে মারা যাবে। তার অবস্থা নাকি ক্রমেই মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এমনটাই বলেছে ডাক্তার।
এখন অপারেশনসহ যাতায়াত ভাড়া বাবদ প্রায় দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু আমার পক্ষে এখন এতগুলো টাকা জোগাড় করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাই আমি সমাজের বিদ্যমান মানুষের কাছে আকুল আবেদন, আমার এই সন্তানটিকে বাঁচাতে আপনারা সবাই এগিয়ে আসুন। আমরা যে যা পারেন আমাকে সাহায্য করলে অপারেশনের পর হয়তো আমি আমার সন্তানটিকে আমার কোলে ফিরে পাব। যদি আপনারা আমাকে সাহায্য করতে চান তাহলে আমার ০১৭২১- ৭৬৮২১১ এই নাম্বারে আপনারা দয়া করে যোগাযোগ করবেন”।
এদিকে এলাকাবাসী জানায়, মামুনের তিন বছরের পুত্র মাহিন কে বাঁচাতে সে অনেক ঋণগ্রস্ত হয়ে গেছে। এলাকাবাসী ও তাকে যে যা পারতেছে সাহায্যে করতেছে।
সমাজের দায়িত্বশীল এবং বিত্তবান মানুষেরা যদি মামুন মিয়ার পুত্র মাইন কে বাঁচাতে একটু সাহায্য সহযোগিতা করে তাহলে হয়তো বেঁচে যাবে ফুটফুটে একটি সুন্দর জীবন।