মোঃ রিপন রেজা স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জঃ
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদল উপজেলা শাখার সাবেক সংগ্রামী সভাপতি মোঃ জালাল আহমেদ জামানকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পেতে চায় তৃণমূল বিএনপি।জালাল আহমদ জামানের ১৯৯১ সালে কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী এম.কে আনোয়ারের হাত ধরে রাজনীতিতে আগমন ঘটে।১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে জননিরাপত্তা আইনে মোট ২২টি মামলার দায়ে একাধিকবার জেল জুলুমের শিকার হতে হয়েছেন।তিনি ছিলেন যুবদলের সর্বাধিক প্রিয়,কর্মীবান্ধব,তৃণমূল নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের একজন লড়াকু সৈনিক।শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে আদর্শিত হয়ে দলের সকল আদর্শকে বুকের ভিতর লালন করে,দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে,তৎকালীন জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এম,কে আনোয়ারের বিশ্বস্ত আস্থাভাজন হিসেবে এলাকায় পরিচিতি ছিলেন।বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল,অঙ্গ সংগঠনের উপজেলায় যে কোনো ধরনের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিকে বাস্তবায়ন করার লক্ষে সব বয়সের সাধারণ জনগনসহ যুবকদের একসাথে করে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার জনপ্রিয় নেতা হিসেবে সুনাম অর্জন করেছিলেন।তার ডাকে ছোট বড় সবাই দল মত নির্বিশেষে জড়ো হতো।উপজেলার অন্তর্গত যেকোনো ইউনিয়নে যেকোনো অনুষ্ঠান যখন সফলভাবে বাস্তবায়ন করার প্রয়োজন ছিল,ঠিক তখন হাজারো নেতাকর্মীকে নিয়ে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সফলভাবে বাস্তবায়ন করার কারণে তৎকালীন মন্ত্রী এম,কে আনোয়ারের আস্থাভাজন হিসেবে এবং বিশ্বস্ত একনিষ্ঠ রাজপথের লড়াকু সৈনিক হিসেবে মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন।জালাল আহমেদ জামানের সাহসিকতার কারণে বিএনপি অঙ্গসংগঠনসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা
জালাল আহমেদকে পছন্দ করতেন।কর্মীবান্ধব এই যুবনেতার হঠাৎ উত্থান এবং রাজনৈতিক মাঠে সুনাম অর্জন করার কারণে নিজ দলের মধ্যে ঝাপটি মেরে থাকা কিছু সংখ্যক নেতা তাকে আর সহ্য করতে পারছেন না।নানা ধরনের ষড়যন্ত্র,পদে-পদে তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর আভাস পেয়ে তরুণ এই যুবনেতা এক সময়ে আমেরিকাতে পাড়ি জমান।সেখানে গিয়েও সব সময় মেঘনা উপজেলার বিএনপির ছাত্রদল, যুবদল,স্বেচ্ছাসেবক দলসহ সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে সব সময় যোগাযোগ রেখে চলেছেন এবং তৃণমূল নেতাকর্মীদের মনের ভাব চাঙ্গা রাখার উদ্দেশ্যে সব সময় সাহস যোগানোর কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি প্রবাসে থাকাকালীন বিএনপির যুবদল ও ছাত্রদলের স্বেচ্ছাসেবকদলের অসংখ্য নেতাকর্মীদের আর্থিক সহযোগিতা করেছেন বলে জানাযায়।২০২৩ সালে আবারো তিনি বাংলাদেশে এসে আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।তিনি অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়াকে সঙ্গে নিয়ে একটি বিশাল সমাবেশের আয়োজন করলে সমাবেশটি জননেতা তারেক রহমানের দৃষ্টিগোচরেে আসে।যা ইতিপূর্বে গত ১২ বছরে কেউ মেঘনা উপজেলতে কেউ এতো বড় সমাবেশ করতে পারেনি।দলের এই সময়ে বিএনপিরও অঙ্গ সংগঠনের সকল নেতাকর্মীরা জালাল আহমেদের মতো একজন সাহসী নেতাকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পেলে,মেঘনা উপজেলা বিএনপি আরো শক্তিশালী হবে বলে তৃলমূল নেতা কর্মীরা তাদের মনের বাসনা জানান।মেঘনা উপজেলার বিএনপি’র সকল অঙ্গ সংগঠনের এবং তৃণমূল পর্যায়ের সকল নেতা কর্মীরা জালাল আহমেদ জামানকে মেঘনা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে থাকলে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ও উপজেলা নেতাকর্মীদের জন্যে সুফল বয়ে আনবে।এই প্রত্যাশায় জালাল আহমেদ জামানকে সাধারণ সম্পাদক পদে সকল নেতাকর্মী পেতে চায়।