আব্দুল্লাহ আল মামুন পিন্টু টাঙ্গাইলঃ
টাঙ্গাইলে স্বেচ্ছাসেবী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের সংগঠন দশমিক এর ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে। টাঙ্গাইল জেলা শহরের পলাশতলী এলাকায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দশমিক ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ রাশেদ খান মেনন (রাসেল), শহর সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শিশির দাস, হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান’সহ অন্যান্য অতিথিগণ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দশমিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মিনারুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন দশমিক ফাউন্ডেশন এর সাধারণ  সম্পাদক আমেনা আক্তার তিলোত্তমা। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন দশমিক ফাউন্ডেশন এর সহ-সভাপতি আলী আকবর, সহ-সভাপতি কানিজ ফাতিমা মীম, চিকিৎসা বিষয়ক সম্পাদক ত্রিজান চৌহান, শিশু ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক উম্মে হাবিবা,  কার্যকারী সদস্য অর্পিতা দত্ত, মীম, আফরোজা, শুভ, বিপ্লব, রাশেদ, তানভীর, জিহাদ, সিফাত, আলী আকবর’সহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দশমিক মূলত সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার, হতদরিদ্র, দূর্যোগ কবলিত মানুষদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবী এ সংগঠনের সদস্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের টিফিনের টাকা ও হাত খরচের টাকা জমিয়ে বিভিন্ন সময়ে এ ধরনের ব্যতিক্রমী আয়োজন করে থাকে। এ সংগঠনের সদস্যরা বিভিন্ন সময় সমাজসেবামূলক বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়ে মানব কল্যাণে এগিয়ে এসেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বস্তি এলাকায় ছিন্নমূল পথশিশুদের নিয়ে পিঠা উৎসব,  ক’রো’না ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে শহরের উল্লেখযোগ্য স্থানে পথচারীদের মাঝে সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক বিতরণ ও স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সকলকে সচেতন করা, সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে মেহেদী উৎসব, ঈদ বাজার, ঈদে জামাকাপড় বিতরণ, শীত বস্ত্র প্রদান, দরিদ্র পথচারীদের খাবার বিতরণ ইত্যাদি। এছাড়াও দশমিক পাঠশালার ছিন্নমূল শিশুদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আয়োজকগণ জানান তাদের এই উদ্যোগ  সামনে আরও এগিয়ে যাবে।  প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রথমে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করা হয়। এরপর  প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা, কেক কেটে সকলকে মিষ্টিমুখ করানো হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে  অবদানের জন্য সদস্যদের পুরস্কৃত করা হয়। এরপর শুভেচ্ছা স্মারক, সার্টিফিকেট দিয়ে তাদের কাজে উৎসাহিত করা হয়। এছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কবিতা আবৃত্তি, গান ও নাচের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
        
                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                
                                
                                
                                
                                