আব্দুল্লাহ আল মামুন পিন্টু,টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় কবির হোসেন নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার(১৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার সংগ্রামপুর ইউনিয়নের চৈথট্ট বটতলী বাজারে একটি ভ্যান চার্জ দেওয়ার গ্যারেজ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত কবির উপজেলার সংগ্রামপুর ইউনিয়নের ধুপা খাগরাটা গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে। সে পেশায় একজন ভ্যানচালক।
এ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় টাঙ্গাইলের পৃথক পৃথক স্থান থেকে চারটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতিও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন জানান জানান, একটি ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা।
এদিকে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জেলার ভুঞাপুরে প্রবাসীর স্ত্রী’র মরদেহ ঘরের বক্স খাটের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনার পর স্বামী মোস্তাক পালিয়েছে। উদ্ধার হওয়া প্রবাসীর স্ত্রী মুনিয়া ইসলাম (৩২) গোপালপুর উপজেলার নলীন এলাকার নুরুল ইসলাম খানের মেয়ে এবং একই উপজেলার বাগুয়াটা গ্রামের আজমত আলীর ছেলে ব্রুনাই প্রবাসী মোস্তাকের স্ত্রী।
একই দিন ভূঞাপুরে ঘর থেকে সুলতানা সুরাইয়া(৬৫) নামের এক বৃদ্ধার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুলতানা সুরাইয়া ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার নিউজ এডিটর আবু সায়েম আকন্দের মা এবং পশ্চিম ভূঞাপুর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম আকন্দের স্ত্রী। বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে পৌরসভার পশ্চিশ ভূঞাপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে ওই বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করা হয়
ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসান উল্লাহ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- একদিন আগে তাকে হত্যা করে ফেলেছি রেখে গেছে দৃষ্কৃতিকারীরা। লাশ
ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে
পাঠানো হয়েছে।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে পৌরসভায় জমি বুঝে পাওয়ার জন্য একটি আবেদন করে খাইরুল। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে শুক্রবার সকালে তিনিসহ পৌরসভার সার্ভেয়ারসহ দায়িত্বপ্রাপ্তরা জমি পরিমাপ করতে যান। এ সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই মোতালেব নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে পৌরসভার লোকজনদের উপর হামলা করে এবং মরিচের গুড়া ছিটিয়ে দেয়। এ সময় হামলাকারিরা খায়রুলকে ছুরিকাঘাত করলে তার পেট পুরোটা কেটে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।