মোঃসাদ্দাম হোসেন ইকবাল,
ঝিকরগাছা উপজেলা প্রতিনিধি।
প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে অনিয়ম, কর্তৃপক্ষ দেখছে শুনছে কিন্তু কিছুই বলছে না বরং নিরব ভূমিকা পালন করতে দেখা যাচ্ছে। এরই সুযোগ নিয়ে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থিত এসএস ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টিভি মেকানিক দিয়ে প্যাথলজিতে রক্ত টানানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এ বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে সংবাকর্মীদের নামে ধর্ষণ আর চাঁদাবাজির মামলা দেয়ার হুমকি দিয়েছেন ক্লিনিকের পরিচালক কথিত ডাক্তার সোনিয়া আক্তার। প্রকৃত ডিগ্রী না থাকলেও তার ভিজিটিং কার্ডে ডাক্তার ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়, ডিএইচএমএইচ ডিগ্রী এবং নিজের নামের পূর্বে ডাক্তার লিখে ঝিকরগাছা মোবারাকপুর গ্রামের শামছুর রহমানের মেয়ে সোনিয়া আক্তার দীর্ঘদিন ধরে ক্লিনিক ব্যবসার নামে প্রতারণা করে আসছে। গত শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে এসএস ক্লিনিকে একজন সিজারিয়ান রোগীর জন্য রক্ত দিতে যায় একজন রক্তদাতা। এসময় ক্লিনিকের পরিচালক কথিত ডাক্তার সোনিয়ার স্বামী বাজারের টিভি মেকানিক শুকুর আলী রক্তদাতার হাত থেকে রক্ত টানেন। এসময় রক্তদাতা অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এসএস ক্লিনিকের পরিচালক কথিত ডাক্তার সোনিয়া আক্তার বলেন, শুকুর রক্ত টেনেছে তাই কি হয়েছে? একজন টানলেই হলো। যিনি রক্ত টেনেছেন তিনি ল্যাব টেকনিশিয়ান কিনা, এই প্রশ্ন করলে তিনি রেগে যান এবং ফোন আরেকজনকে ধরিয়ে দেন। পরবর্তীতে ঐ রক্তদাতাকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সাংবাদিকরা এই বিষয় নিয়ে নিউজ করলে তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি আর ধর্ষণের মামলা দিয়ে শায়েস্তা করা হবে এবং তাকে কেউ কিছু করতে পারবেনা বলে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করেন।
টিভি মেকানিক দিয়ে রক্ত টানানোর বিষয়ে আইনি ব্যাখ্যা জানতে চাইলে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার রশিদুল আলম বলেন, একমাত্র সরকার অনুমোদিত প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারো এই কাজ করার অনুমতি নেই। কেউ যদি এধরণের কাজ করে তবে সেটা শাস্তি যোগ্য অপরাধ।