মোঃ আতিকুর রহমান আজাদ
মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
ডাসারের মাটিতে অনুষ্ঠিত জানাজা নামাজে শরীক হওয়ার জন্য ঢাকায় দুইটি জানাজায় শরীক না হয়ে জানাজা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সহযোগিতা করি। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা কে বিষয়টি জানিয়ে ম্যাসেজ দিয়েছি। আমরা আরও কিছু সময় অপেক্ষা করি,হয়তো আল্লাহ চাইলে, তার স্ত্রী ও দুই কন্যার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হতে পারে।
মাদারীপুর-৩ আসনের চারবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও যোগাযোগ মন্ত্রী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী,বিভিন্ন অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা,বাংলার বিদ্যাসাগর খ্যাতি প্রাপ্ত শিক্ষানুরাগী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সৈয়দ আবুল হোসেন গত ২৫ অক্টোবর রাত ২টা৫ মিনিটে ঢাকা ইউনাইটেড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার এই মৃত্যুর সংবাদটি মুহূর্তের মধ্যে ডাসার,কালকিনি, মাদারীপুর সহ সারা ছড়িয়ে পরলে বিশেষ করে মাদারীপুর জেলার কালকিনি ও ডাসারের সকল ধর্মের মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। আজ শুক্রবার বাদ জুমআ ডাসারে তার জানাজায় শরীক হওয়ার জন্য কালকিনি, ডাসার সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ এসে জোর হয়। কিন্তু তার স্ত্রী এবং দুই কন্যা সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের পীর হযরত খাজা ইউনুস আলী (রাঃ) মাজারে দাফন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং তারা মনে করেন ডাসারের মাটিতে জানাজার জন্য নেয়া হলে তারা আর এ মরদেহ ফেরত দিবে না। তাই তারা ঢাকা থেকে সরাসরি সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে সৈয়দ আবুল হোসেনের মরদেহটি নিয়ে বাদ জুমআ জানাজা দিয়ে নক্সবন্দী মোজাদ্দেদী সূফী তরিকাপন্থী তার পীরানে পীর হযরত খাজা ইউনুস আলী(রাঃ) মাজার শরিফে দাফন করেন।
অন্যদিকে ডাসারে আগত হাজার হাজার মানুষ, তাদের অভিবাবক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মানুষটিকে এক নজর দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকেন।
এসময় অনেক হিন্দু বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মের লোকদেরও কান্না করতে দেখা যায়।
সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের ছোট ভাই ডাঃ সৈয়দ আবুল হাসান বলেন, ভাই নিজেই এখানে তার তৈরি উপজেলা সদরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ও মসজিদের পাশে কবর স্থান বানিয়েছেন, মৃত্যুর পরে যাহাতে ওখানে দাফন করা হয়। ভাইয়ের সেই ইচ্ছা আর পুরন হল না। ভাবী ও তাদের মেয়েদের সিদ্ধান্তের কাছে আমি নিরুপায়। আপনারা তার জন্য দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতের উঁচু মাকাম দান করেন।