মোঃ আতিকুর রহমান আজাদ মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের ডাসারে সৈয়দ পার্থিব-(২৫) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের বিরুদ্ধে (১৯) বছরের এক যুবতীকে ধর্ষনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছে ওই ভূক্তভোগী নারী। এই ঘটনায় ওই আওয়ামী লীগ নেতার পরিবারের লোকজন বসতবাড়ি ছেড়ে পালাতক রয়েছে বলে জানাগেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন থানা পুলিশ। এদিকে টাকার বিনিময়ে এই ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছেন স্থানীয় বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা।
মামলা ও ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার ডাসার গ্রামের স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ আজিম উদ্দিনের লম্পট ছেলে সৈয়দ পার্থিবের সঙ্গে প্রায় দুই বছর পূর্বে একই এলাকার বাক প্রতিবন্ধী অসহায় এক পিতার যুবতী কন্যার প্রেমের সম্পর্ক তৈরী হয়। এর জের ধরে ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধীকবার ধর্ষন করে আওয়ায়ী লীগ নেতার ছেলে পার্থিব। পরে ওই যুবতীকে বিয়ে করার জন্য পার্থিবের পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করেন ধর্ষনের শিকার ওই নারীর পরিবার। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা আজিম উদ্দিন তার ছেলে পার্থিবকে কৌশলে বিদেশে পাঠিয়ে দেন। উপায়অন্ত না পেয়ে ওই যুবতী নারী বাদি হয়ে গত শনিবার সৈয়দ পার্থিব, আওয়ামী লীগ নেতা আজিম, নাদিমসহ পাঁচজনের নামে ডাসার থানায় একটি ধর্ষন ও অপহরন মামলা দায়ের করেন। খবর পেয়ে ওই আওয়ামী লীগ নেতার পরিবারের লোকজন বসতবাড়িতে তালা মেরে বাড়ি ছেড়ে পালাতক রয়েছে। এদিকে টাকার বিনিময়ে এই ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা এবং মাদারীপুর কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে হবে বলে যুবতী বাদিকে নিয়ে মামলা তোলার চেষ্টা চালিয়ে আসছেন স্থানীয় বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা।
মামলার বাদি ভুক্তভোগী ওই নারী কান্না জরিত কণ্ঠে বলেন, ডাসার ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আজীমের লম্পট ছেলে সৈয়দ পার্থিব আমাকে বিয়ে করার কথা বলে আমার সাথে বেশ কয়েকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছে এবং আমার পরিবার বিয়ে ঠিক করলে,বিয়ের দিন পুনরায় আমাকে ফুসলাইয়া সৈয়দ নাদিমকে দিয়ে প্রথমে গৌরনদীতে তিন দিন এবং ওখান থেকে কিশোরগঞ্জে নিয়ে ৭ দিন রাখে। তাই আমি তাদের নামে থানায় ধর্ষন ও অপহরন মামলা দায়ের করেছি। তবে মামলা দেয়ায় আমাকে নেতাদের মাধ্যমে টাকার বিননিময়ে আপোষ হওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে।
এ ব্যাপারে ডাসার থানার এস.আই মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, যুবতী নারীকে ধর্ষনের ঘটনায় ৫জনের নামে থানায় একটি ধর্ষন ও অপহরন মামলা হয়েছে। তবে মামলার খবর পেয়ে ধর্ষকের পরিবার পলাতক রয়েছে। আসামী গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।