মোঃ আতিকুর রহমান আজাদ মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুরের ডাসারে সরকারি জায়গা অবৈধভাবে দখল করে পাঁকা স্থাপনা নির্মাণ করে আসছেন স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল।এদিকে সরকারি জমি দখলের ঘটনায় প্রশাসনের রহস্যজনক ভূমিকা রয়েছে দাবি করেন স্থানীয় সচেতন মহল।
কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সরকারি জায়গায় প্রতিনিয়ত ব্যক্তি মালিকানায় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠায় সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। প্রায় একযুগ ধরে সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠা ও নতুন করে পাঁকা ভবন নির্মাণের কাজ চলছে।অপরদিকে প্রশাসন এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ না করায়,জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।জানাগেছে, ডাসার উপজেলার ৩৩ নং ধামূসা মৌজার ১ খতিয়ানে বিআরএস ৭২১ নং দাগে খাল ও ৭২৮ নং দাগে রাস্তা সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত।
ওই জমির কিছু অংশ দখল করে স্থানীয় প্রভাবশালী সৈয়দ শাহআলম ও সৈয়দ বেলায়েত হোসেন পানি নিষ্কাশনের খালটি ভরাট করে পাকা বহুতল ভবনের নির্মান কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন সরেজমিনে এসে সরকারি জমি দখল করে নির্মাণ শুরু করায় সম্প্রতি তাদের কাজ বন্ধ করে দেন প্রশাসন।কিছু দিন পুনরায় ওই নির্মাণ কাজটি চালু করেন। এতে করে প্রশাসনের রহস্যেজনক ভুমিকা রয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় সচেতন মহল।
ডাসার কাঁঠালা বাজার কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল আলম লাহিদ বলেন, খালটি পানি নিষ্কাশনের জন্য খুবই প্রয়োজন। এটি একটি উপজেলার মধ্যে বড় বাজার।সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করে যদি সরকারি খাতে অর্ন্তরভুক্ত করে দোকান বরাদ্দ দেন, তাহলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় করতে পারে।
দখলদার সৈয়দ শাহআলম বলেন, আমার পাকা ভবনটি যদি সরকারি জায়গায় পরে, তাহলে আমি ভেঙে ফেলবো। এসময় সৈয়দ বেলায়েত হোসেনের মুঠোফোনে ফোন করে না পাওয়ার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।ডাসার উপজেলা ভুমি সার্ভেয়ার মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, সরকারি খাল ও রাস্তার কিছু অংশে স্থাপনা রয়েছে।বিষয়টি ইউএনও স্যারকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।
ডাসার উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজা মো.গোলাম মাসুম প্রধান বলেন, সার্ভেয়ার এখনো চুড়ান্ত রিপোর্ট দেয়নি বিদায় কিছু বলাতে পারছি না।
যদি পুনরায় কাজ করার বিষয়টি আমি দেখা হবে।