তুষার কবিরাজ ডুমুরিয়া খুলনা প্রতিনিধি
ডুমুরিয়ায় শিশু পাচারের চেষ্টা ধামাচাঁপা দিতে মারামারির নাটক সাজিয়ে দায়েরকৃত মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলার খর্ণিয়া গ্রামস্থ আহাদ আলী মোড়ল নিজ বাসভবনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এলাকার অসংখ্য নারী পুরুষের উপস্থিতিতে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আহাদ আলী বলেন, গত ১৪ অক্টোবর রাত অনুমান ১১টার সময় আমার ভাইপো খর্ণিয়া মাদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার ছাত্র মুশফিকুর মোড়ল (১২) কে পাচারের উদ্দেশ্যে মাদ্রাসা থেকে ডেকে নেয় একই এলাকার মৃত কাশেম আলী সরদারের ছেলে মফিজুল ইসলাম সরদার। সে এলাকায় একজন অসৎ, দুস্কৃতিকারি ও মামলাবাজ হিসেবে পরিচিত। এরপর ওই মফিজুল এলাকার কথিত এক মহিলা ফকিরের কাছে নিয়ে শিশুটির মাথার চুল কাটার পর নিখোঁজ হন সে। পরদিন সকালে শিশুটিকে খোঁজ না পেয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তার পরিবারকে জানান। বিষয়টি জানার পর এলাকায় খুব তোলপাড় সৃষ্টি হয়। তখন শিশু পাচার ওই চক্রটি ধরা খাওয়ার ভয়ে তাকে ছেড়ে দেয় এবং একদিন পর যশোর এলাকা থেকে অসুস্থ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। শিশুটি সুস্থ হলে তার মুখে উল্লেখিত ঘটনার বর্ণনা শুনে পরিবার সহ এলাকাবাসী হতাশ হয়ে পড়ে।
তিনি আরও বলেন, এরপরও বিষয়টি স্বাভাবিক ভাবে নিয়ে ২০ অক্টোবর রাতে ওই মাদ্রাসা কমিটি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে মাদ্রাসা মাঠে এক শালিশী বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় ওই রাতেই সকলের অজান্তে মামলাবাজ মফিজুল তার ছেলে, মেয়ে ও নাতিকে মারামারিতে আহতের মিথ্যা নাটক সাজিয়ে প্রথমে ডুমুরিয়া হাসপাতাল পরদিন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপর আমি সহ পরিবারের ৮জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। যে মামলায় ওই শিশুর পিতা জাহাঙ্গীর মোড়ল আজও জেলহাজতে।
মিথ্যার কাছে হার মেনে একটি পরিবার সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে এমনটি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, মিথ্যা মামলায় জড়িত আসামিদের নিঃশর্ত মুক্তি ও তদন্ত পূর্বক অপরাধি মফিজুল ও তার সহযোগিদের আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাই।