তুষার কবিরাজ ডুমুরিয়া খুলনা প্রতিনিধি
ডুমুরিয়ায় সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে সাবাড় করছে কতিপয় দূর্বৃত্ত। এতে উজাড় হচ্ছে বনায়ন, ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ। এ যেন দেখার কেউ নেই ?
উপজেলা বনায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ২৬নং পোল্ডারে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ভদ্রানদীর মুখ তেলিগাতি হতে শোভনা মধ্যপাড়া বারুইপাড়া অভিমুখে প্রায় ১৩ কিলোমিটার খননকৃত নদীর পাড়ে সামাজিক বনায়ন করা হয়। অতি অল্প সময়ে রোপিত শিরিশ,আকাশমনি,বাবলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ বেশ বৃদ্ধি পেয়ে বড় হয়ে উঠে। সৃজিত বনায়নের মনোরম দৃশ্যে আকৃষ্ট হয়ে প্রতি বিকেলে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভ্রমণ পিপাসুদের আনাগোনায় প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে পুরো বনাঞ্চল। সম্প্রতি পশ্চিম শোভনা দাসপাড়ার সুজয় দাস, মিঠুন, বাসুদেব, সুজন ও কমল দাস নামে একটি সংঘবদ্ধ চক্র ওই বনায়নের বৃক্ষ নিধনে মেতে উঠে। ইতোমধ্যে ওই চক্রটি তেলিগাতি এলাকা থেকে রাতের আঁধারে ছোট বড় ৮/১০টি বাবলা গাছ কর্তনের সময় জনতার হাতে ধরা পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে বনায়ন কমিটির সভাপতি আব্দুর রশিদ খান ঘটনাস্থলে গিয়ে কর্তনকৃত গাছগুলো উদ্ধার করে নিজ জিম্মায় রেখে দেয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। স্থানীয় বাসিন্দা হাজারীলাল দাসসহ বনায়নের একাধিক উপকারভোগী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিনিয়ত ওই চক্রটি সরকারি বনবিভাগের গাছ কেটে পরিবেশ নষ্ট করছে অথচ দেখার কেউ নেই। বনবিভাগের অফিসাররা এসে দেখেও না দেখার ভান করে চলে যায়। এদেরকে আইনের আওতায় আনা উচিত। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বন কর্মকর্তা মোঃ লিয়াকত হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কর্তনকৃত গাছগুলো জব্দ করেছি এবং অভিযুক্তদের মৌখিক ভাবে অফিসে ডেকেছি, দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।