সুলাইমান পোদ্দার তজুমদ্দিন প্রতিনিধি
ভোলার তজুমদ্দিনে সিঁধ কেটে চুরি করে এরপরে প্রবাসীর বাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পরে খবর পেয়ে তজুমদ্দিন ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার দাবি করছে।
রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সম্ভুপুর ইউনিয়নের কোড়ালমারা গ্রামের ওমান প্রবাসী মো: ফয়সালের স্ত্রী জাহিদা বেগম একই ইউনিয়নে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। এ সুযোগে রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে সিঁধকেটে ঘরে ডুকে স্বর্ণের অলংকার, নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র নিয়ে যায়। পরে অজ্ঞাতনামা চোরেরা প্রবাসীর বসত ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখায় প্রবাসীর ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে তজুমদ্দিন ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ফায়ার সার্ভিস ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে রাত সাড়ে ৩টায় পুরো আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
প্রবাসীর স্ত্রী জাহিদা বেগম জানান, দুর্বৃত্তের দেয়া আগুনে আমাদের ঘরটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। আগুনে মালামালের সাথে গর্ভবতী একটি ছাগলও পুড়ে মারা যায়। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
পাশের কারিমিয়া কেরাতুল কোরআন নূরানি ও হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ আইয়ুব আলী বলেন, তারাবির নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে পড়ি। হঠাৎ রাত ২টার দিকে আগুনের বিকট শব্দ শুনে উঠে দেখি ফয়সাল ভাইয়ের বসতঘর পুড়ে গেছে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ততক্ষণে পুরো ঘর পুড়ে যায়।
তজুমদ্দিন ফায়ার সার্ভিসের লিডার মোখলেছুর রহমান বলেন, রাতে সংবাদ পেয়ে রাস্তা খারাপ থাকায় আমরা ঘটনাস্থলে যেতে একটু সময় লাগে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় সম্পূর্ণ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে এক ঘণ্টা সময় লাগে।
তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ মহব্বত আলী খাঁন বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা শুভ দেবনাথ বলেন, আমি দাপ্তরিক কাজে ভোলায় রয়েছি। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার দরখাস্ত করলে সাধ্যমত সহযোগিতার চেষ্টা করব।