সুলাইমান পোদ্দার তজুমদ্দিন উপজেলা প্রতিনিধি।
রবিবার (১৫ জুন) ভোলার তজুমদ্দিন থেকে ঢাকাগামী এমভি ফারহান ৩ লঞ্চ মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে নোঙ্গর করা লঞ্চ থেকে পা পিছলে নদীতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ রয়েছেন মোঃলোকমান হোসেন (২৮)।
তিনি ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার দেওয়ানপুর গ্রামের বকশি হাজী বাড়ির মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে।
লঞ্চে থাকা তার চাচাতো ভাই শিহাদ জানায়,মনপুরা থেকে ঢাকাগামী “ফারহান-৩” লঞ্চটিতে লোকমান হোসেন তার স্ত্রী রিপা আক্তার, ও সোহেল একসাথেই যাত্রী ছিলেন।
পথে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে লঞ্চটি থামলে সফরসঙ্গী সোহেলকে নামিয়ে দিতে গিয়ে পা পিছলে নদীতে পড়ে যান লোকমান। লঞ্চটি ঘাটে ভিড়ানোর পর সোহেল নামার সময় লোকমান পিছন থেকে সহায়তা করছিল। ঠিক তখনই তার পা পিছলে যায় এবং নদীতে পড়ে যান।মুহূর্তের মধ্যেই হারিয়ে যায়।তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।তখন লঞ্চ সুপার বাইজারকে জানালে তারা কোন চেষ্টা না করে বলেন আমাদের কিছুই করার নেই। এমনকি লঞ্চের পেছনের লাইট,টিও তারা জ্বালায়নি। তাৎক্ষণিক ৯৯৯ কল করার পর সোমবার ভোর থেকে অভিযান শুরু করে মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল। পরে যোগ দেয় বিআইডব্লিউটিএ এবং নৌ-পুলিশ।ধলেশ্বরী তীরে তখন স্বজনদের মাঝে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা।কান্নায় ভেঙে পড়ছেন তার স্ত্রী।
উদ্ধার তৎপরতা নিয়ে লঞ্চঘাটে উৎসুক জনতার ভিড় পরে যায়। মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক সফিকুল ইসলাম জানান, নদীতে পানির গভীরতা বেশি এবং স্রোতের গতি বেড়ে যাওয়া দূর পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি চলছে। তার ধারণা লোকমান সাঁতার জানলে পরে যাওয়ার সময় আঘাত পাওয়া বা স্রোতে লঞ্চে নিচে চলে যাওয়ার কারণেই হয় আর উঠে আসতে পারেননি।