ঢাকাWednesday , 10 April 2024
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অভিযোগ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন আদালত
  6. আটক
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আবহাওয়া
  9. ইতিহাস
  10. কবিতা
  11. কুষ্টিয়া
  12. কৃষি
  13. খুন
  14. খেলাধুলা
  15. চাকুরী
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • বিজ্ঞাপন

    বিজ্ঞাপন

  • তরমুজে হাসি, তরমুজে কান্না এমপির ভাতিজাদের সিন্ডিকেটে জিম্মি তরমুজ চাষি ও ব্যবসায়ী

    দেশ চ্যানেল
    April 10, 2024 1:58 pm
    Link Copied!

    মশিউর মিলন,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:

    তরমুজ চাষে সর্বশান্ত হয়েছেন অনেক চাষি আবার তরমুজ চাষ কেন্দ্র করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন ক্ষমতাশীন দলের অনেক নেতা কর্মীরা। স্থানীয় সাংসদের ভাতিজা সহোদর চেয়ারম্যানের কাছে জিম্মি তরমুজ চাষি ও ব্যবসায়ীরা অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এমনই ভয়াবহ চিএ। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় বিগত কয়েক বছরে তরমুজের ফলন ভালো হওয়ায় তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে অনেকেই তরমুজ চাষ করছেন। কিন্তু তরমুজ চাষের শুরু থেকে বাজরজাত করন পর্যন্ত কয়েকটি ধাপে চাঁদা দিতে হচ্ছে চাষিদের। এবছর বাজার সিন্ডিকেটের কারণে ভোক্তাদের তরমুজ বয়কট ও হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় নীচু জমির তরমুজ পঁচে যাওয়ায় লোকসানের মুখে চাষিরা। অন্যদিকে ক্ষমতাশীন দলের নেতা কর্মীদের বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে বিপাকে তরমুজ চাষিরা।

    উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৩১৩১ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছিল। গতবছরের তুলনায় কিছুটা বেড়ে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে ৩৫২০ হেক্টর কৃষি জমিতে এবছর তরমুজ চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে সব থেকে বেশি চন্দ্রদ্বীপে ২২২৪ হেক্টর এবং কালাইয়া ইউনিয়নে ৩৮০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। কৃষি অফিস ধারণা করছে এবছর হেক্টর প্রতি ৩০ মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন হতে পারে।

    #সোমবার (১এপ্রিল) সরেজমিন অনুসন্ধানে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নেঃ

    উপজেলার মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন চারদিকে নদী বেষ্টিত চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন। যাতায়াতের একমাত্র বাহন ইঞ্জিন চালিত নৌকা (ট্রলার)। এ বছর চন্দ্রদ্বীপে ২২২৪ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। তরমুজ চাষ করা চাষিদের অধিকাংশই ভোলা ও পটুয়াখালীর বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছেন। তারা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছ থেকে জমি লিজ নিয়ে তরমুজ চাষ করেন। সরেজমিন দেখা গেছে, মাঠ থেকে তরমুজ কেটে ট্রলারে তুলে দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। ফলন ভালো না হওয়া ও দাম কম থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। তারপরেও কয়েক ধাপে তাদের চাঁদা দিতে হচ্ছে। কথা হয় কয়েকজন চাষির সাথে। কিন্তু প্রকাশ্যে কথা বলতে রাজি হলেন না কেউ। নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে রাঙ্গাবালী থেকে আসা এক চাষি জানান, জমি লিজ নিতে স্থানীয় চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাস মোল্লা এবং মহসিন ডাকাতকে টাকা দেয়া লাগছে। নির্ধারিত টাকা না দিলে এখানে চাষ করা যায় না অপর দিকে টাকা না দিলে মহসিন ডাকাতের লোকজন এসে চাষির লোকজনকে মারধর করে মালামাল নিয়ে যায়। এছাড়া শ্রমিক দিয়ে ক্ষেত থেকে তরমুজ কেটে ট্রলার কিংবা ট্রলিতে তুলতে ও শ্রমিক ঠিক করে দিচ্ছেন চেয়ারম্যানের লোকেরা। তাদের নির্ধারিত শ্রমিক ছাড়া অন্য কোন শ্রমিক এখানে কাজ করতে পারে না।

    এবিষয়ে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. এনামুল হক আলকাস মোল্লা অভিযোগ অস্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন, জমি লীজ নেয়ার জন্য আমি কোন টাকা নেই না। এখানে কিছু লোক জমি কিনে চাষিদের কাছে আবার বিক্রি করে, এই মধ্যসত্বভোগীরা টাকা নেয়। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মাধ্যমে শ্রমিক নিতে হবে এটাও সত্য না।

    #মঙ্গলবার (২এপ্রিল) কালাইয়া ইউনিয়নে সরেজমিন অনুসন্ধানঃ

    এবছর কালাইয়া ইউনিয়নে ৩৮০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়। ইউনিয়নের চর কালাইয়া, শৌলা ও টেক্কার চর ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন চাষির সাথে। চন্দ্রদ্বীপের মতো কালাইয়াতেও প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি। নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে টেক্কার চরের এক চাষি জানান, ট্রাক থেকে চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় চেয়ারম্যানের লোকেরা তরমুজ বোঝাই ট্রাক ৩/৪ ঘন্টা আটকে রাখে এরপর ১৩হাজার টাকা দিয়ে ট্রাক ছাড়িয়ে নেয়। এই ঘটনায় পাইকাররা কালাইয়া থেকে তরমুজ নিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। তিনি আরও জানান, ৫একর জমিতে তিনি তরমুজ চাষ করছেন। তরমুজ বিক্রি করে একর প্রতি ৪হাজার করে মাঠ খাজনা বাবদ চেয়ারম্যানকে ২০হাজার টাকা দিতে হবে। শৌলা গ্রামের অপর চাষি জানান, তিনি পৈতৃক ২০ একর জমিতে ৪০লাখ টাকা খরচ করে তরমুজের চাষ করেন। ফলন ভালো না হওয়ায় লোকসানের মুখে ফরহাদ। তিনি আরও জানান, এখানে জমি লিজ নিয়ে তরমুজ চাষ করতে হলে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জমি লিজ নিতে হয়। এবং মাঠ খাজনা বাবদ চেয়ারম্যানকে একর প্রতি ৪হাজার টাকা দিতে হয়। লোকসান হবে এজন্য মাঠ খাজনা চেয়ারম্যান কিছুটা কম নিবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    কালাইয়া ল্যাংড়া মুন্সির পুল এলাকায় ট্রাক থামিয়ে প্রতিটি ট্রাক থেকে ৮শ থেকে ১হাজার টাকা নিচ্ছে আলমগীর নামের এক লোক কিন্তু দেয়া হচ্ছে না কোন রশিদ। ট্রাক ড্রাইভার ইসরাইল জানান, চেয়ারম্যান ইজারার নামে ৮শ টাকা দিতে হয়েছে। টাকার কোন রশিদ দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন রশিদ দেয়নি।

    ভোলার তরমুজ ব্যবসায়ী আনিচ বেপারী মুঠোফোনে জানান, কালাইয়াতে তরমুজ কিনতে যাওয়ার পর চেয়ারম্যানের লোকেরা ৫% টাকা দাবি করায় বাউফল থেকে তরমুজ না কিনে ফিরে এসেছি।

    সব অভিযোগ অস্বীকার করে কালইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এএসএম ফয়সাল আহম্মেদ মনির মোল্লা বলেন, আমি চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা করি। কালাইয়া হাঠের ইজারা আমার নেয়া। কালইয়াতে তরমুজ বিক্রি করলে তার ৫% খাজনা আমি পাবো তারপরও আমি তরমুজ বিক্রির খাজনা নিচ্ছি না। ট্রাক প্রতি টাকার নেয়ার বিষয়টি তার জানা নাই বলে জানান। তিনি আরও বলেন, যারা ট্রাক ভাড়া করে দেন তারা ট্রান্সপোর্ট কমিশন নেন।

    এবিষয়ে সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ (এমপি) বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তার জানা নেই। তবে কেউ যদি এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন তবে ভুক্তভোগীকে আইনি সহযোগীতা পেতে সাহায্য করবেন।

    এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
  • Design & Developed by: BD IT HOST