জাহাঙ্গীর আলম, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে তীব্র তাপদাহের মধ্যে বহুবিদ শঙ্কা নিয়ে শুরু হয়েছে সোনার ফসল ঘরে তোলার কাজ। একদিকে প্রচন্ড তাপদাহ অন্যদিনে যে কোন সময় হতে পারে শিলাবৃষ্টিসহ ঝড়ঝাপটা আর শ্রমিক সংকট তো আছেই। সব কিছু বিবেচনায় রেখে কোন প্রকার সময় নষ্ট করতে নারাজ তারা। এবার বোরোর বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। ধান ঘরে তুলতে প্রকৃতিক দূর্যোগ ও ঝড় বৃষ্টি বাঁধ সাধার আগেই ধান কাটা, বাধা ও বাড়ীতে নিতে তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে কোটচাঁদপুরের মাঠগুলোতে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সবেমাত্র শুরু হয়েছে ধান কাটা যা আগামী ১২ থেকে ১৫ দিন লাগবে মাঠ থেকে সব ধান ঘরে তুলতে।
উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের বোরো ধান চাষী জাহাঙ্গীর আলম, সহিদুল, হায়দার, সরো গড়াই, তরিকুল , সাইফুল রোয়ারমাঠের মধ্যে ধান কাটা ও বাধাঁর কাজ করছিলেন। তাদের সাথে কথা বললে তারা জানান এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বোরো ধানের ফলন খুব ভাল হয়েছে। দামও অনেক ভাল। ধান কাটা শ্রমিকের কিছুটা সংকট থাকলেও কিছু ধান ঘরে তুলতে পেরেছি। তবে এবার প্রচুর গরম পড়ায় জীবন দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে । তারা আরো জানান শিলাবৃষ্টির শঙ্কায়
এখন ধান কেটে বাড়িতে নিতে ব্যস্ত আছি। মাড়াই পরে করবো। বালিয়া ডাঙ্গা গ্রামের বোরো চাষী রহমান, কাওসার, হেকমত, আক্তার, লালচাঁদ এবং কুষনা ইউনিয়নের তালসার গ্রামের চাষী হাসান বলেন, এবার আল্লাহর রহমতে আশানুরুপ ধানের ফলন আছে যে কারণে শ্রমিক সংকট থাকলেও বেশি একটা সমস্যা হচ্ছে না।
কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাজিবুল হাসান জানান, এ বছর মোট ৬ হাজার ৩ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ হাজার ১ শত উননবই মেট্রিকটন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ হবে ইনশাল্লাহ। বোরো ধান কেবল গোছানো শুরু হয়েছে তবে কৃষকরা বলছে বাম্পার ফলন হচ্ছে। উচ্চ তাপমাত্রা আর প্রচন্ড গরমের কারণে শ্রমিক সংকটের মুখে বোরোধান চাষীরা। উপজেলার বহরমপুর গ্রামের ধানচাষী ও এলাকার মেম্বর ফরিদুল ইসলাম বলেন কৃষিতে আরো আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ানো গেলে ঝুকি ও খরচ দু’টোই অনেক কম হত। উন্নতি হতো কৃষকের জীবনমান। যা কার্যকর করতে তিনি জোর দাবী জানান।